পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী Skr রীতিমত লাভ-লোকসানের হিসাব-নিকাশ হয় কিনা, তাহাজে আমার একটা সন্দেহ আছে। মজুত মালের মূল্য ধরিয়া ঘাটতি মালের হ্রাসমূল্য না ধরিলে, মালিকের প্রকৃত মুনাফা অল্পমান করা শক্ত। যাহা হউক, একটু বড় রকমের জাম-কাপড়ের দোকানে ( ঘর ভাড়া ও লোকজনের মাহিনা ইত্যাদিতে ) মাসিক অন্ততঃ নূ্যনকল্পে ৪৫ শত টাকা ব্যয় হয় । একমাত্র পূজার সময় ছাড়া বারোমাস সমানভাবে জাম-কাপড় বিক্রয় হয় না । ইহার উপর এই সমস্ত দোকানের সংখ্যা যেরূপ অসম্ভবরূপে বাড়িয়া চলিয়াছে, তাহাতে ইহার পরিণাম আশাপ্রদ বলিয়া মনে হয় না। তারপর দরিত্রের দেশ বাংলায় বিলাসিতার সামগ্রী কিনিবার ক্ষমতা সাধারণ লোকের মধ্যে দিন দিন হ্রাস ছাড়া বৃদ্ধি পাইতেছে না। এই সমস্ত পোষাক-পরিচ্ছদের অধিকাংশ মাল-মসলা রেশমী কাপড়, ছিটের কাপড়, জরি ইত্যাদি, ভারতের বাহির হইতে আমদানী হইয়া থাকে। কাজেই একটা পোষাকের মূল্যের বারো আনা ভাগ বিদেশে চলিয়া যায়, আমাদের দেশে মাত্র মজুরীর দরুণ চারি আনা ছাড়া আর কিছুই থাকে না । E =을의 বাঙালী ব্যবসার দিকে ঝোক দিয়াছে, ইহা খুব স্বখের বিষয় সন্দেহ নাই। কিন্তু বাঙালী যে-পথটি ধরিয়া চলিয়াছে, তাহাকে কিছুতেই অভ্রান্ত বলিতে পারি না । জাম, কাপড়, পোষাকের দোকান—পনেরো আনা বাঙালীদের । এই জাতীয় ব্যবসার সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাইতেছে, ততই নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার স্থটি হইয়া পরস্পরের অন্ন কাড়াকড়ি চলিতেছে। ইহার ভবিষ্যৎ এই দাড়াইবে যে, অধিকাংশ ব্যবসায়ী কষ্ট-সঞ্চিত মূলধন হারাইয়া,