পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՖ ব্যবসায়ে বাঙালী প্রদান করে। উক্ত টাকায় ব্যাপারীগণ পুনরায় মাল খরিদ আরম্ভ করে। এই অগ্রিম টাকা প্রদানের প্রমাণস্বরূপ আড়তদার ব্যাপারীর নিকট হইতে হাতচিঠা কিংবা রসিদ লেখাইয়া লইয়া থাকেন। কিন্তু ব্যাপারী যে মাল দেয়, তজন্য আড়তদার ব্যাপারীকে কোন রসিদ দিতে রাজী নহেন। কারণ, যদি ব্যাপারী-প্রদত্ত মাল বিক্রয়ের সময় ওজনে কম হয়, এবং তজ্জন্য যদি কেহ ভবিষ্যতে কোন প্রকার দাবী করে, কাজেই আড়তদার ফঁাদে পা দিতে রাজী হন না । বর্তমান নীতিতে জাড়তদার মাল বিক্রয় করিয়া যদি বলেন যে, মালের ওজন কম হইয়া গিয়াছে, ব্যাপারী তাহাই মানিয়া লইতে বাধ্য হয় । বস্তুতঃ চালানী মালের লাভ-লোকসান অনেক সময় আড়তদারের সততার উপর নির্ভর করে। একটা দৃষ্টান্ত দিই। আমারই স্বগ্রামবাসী কানাইলাল দাস নামক জনৈক বেকার যুবক পল্লী-অঞ্চল হইতে কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলিয়া নিজের নৌকা চালাইয়া কতকগুলি বুনো নারিকেল বিক্রয়ের জন্য কলিকাতায় আসে। উক্ত কানাইলাল দাস কলিকাতায় কোন স্থানে নারিকেল বিক্রয় হয়, তাহা জানিত না । আমার পরামর্শ লইয়া উক্ত কানাইলাল দাস বেলিয়াঘাটায় আড়তে উহা বিক্রয় করিতে যায়। উক্ত মারিকেল আড়তদারের গুদামে তুলিয়া দিলে, আড়তদার উহার মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া টাকা দিবেন বলায়, ২৬৩৩টি নারিকেল আড়তদারের গুদামে উঠাইয়া দেওয়া হয়। নারিকেলগুলি তুলিয়া দেওয়৷ হইলে আড়তদার বলেন, “আপাতত: তুমি ৬৩২ টাকা লইয়া বাড়ী বাও । পরে নারিকেল বিক্রয় হইলে অবশিষ্ট টাকা মণিঅর্ডারে দেশে পাঠাইয়া দিব।” ইহাতে কানাইলাল দাস জিজ্ঞাসা করে, "আপনার সহিত কথা ছিল, আপনার গুদামে মাল উঠিয়া গেলে উহার মূল্য স্থির করিয়া আপনি আমাকে টাকা দিবেন, এক্ষণে কথাগ