পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী פסי कब्रिएरङ जस्कृङ: ه ها ه لاlبه ۹۰ د টাকা প্রয়োজন । অন্ততঃ छूहे তিন রেল মাল খরিদের টাকা পুজি না থাকিলে কাজ আরম্ভ করা চলে না। সব সময়েই মূলধন অনুযায়ী ব্যবসা নির্দিষ্ট করা উচিত। কর্মচারী রাখিয়া ব্যবসা করিতে হইলে খরচ বেশী হয়। সমস্বার্থ-বিশিষ্ট দুই তিন জন মিলিয়া কাজ করিলে ভাল হয়, এবং হঠাৎ একজন পীড়িত হইলেও কাজ বন্ধ ( deadlock ) হয় না। এই কারবারে দুই একটী স্থানীয় লোক নিযুক্ত করিলে স্ববিধা হয়। তাহার লোকের বাড়ী বাড়ী ঘুরিয়া সস্তায় মাল আমদানি করিয়া দিতে পারে। এই কাজ করিতে হইলে শুধু কিছু টাকা সঙ্গে লইয়া ট্রেণে চাপিয়া বসিলে লাভ হইবে না, রীতিমত অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্বক। সরিষা খরিদ করিতে হইলে কোন সরিষায় কি পরিমাণ তেল হইবে, এবং কোন মোকামের কি প্রকার মাল তেলকলওয়ালারা আগ্রহ সহকারে ক্রয় করিবে, এ সমস্ত অভিজ্ঞতা না থাকিলে লোকসান অনিবার্ষ্য। জিনিষ চেন, বাজার-দরের উঠতি পড়তির সংবাদ রাখা, এবং হিসাব রাখা—এই তিনটি কাজ না শিখিয়া কাহারও ব্যবসা আরম্ভ করা উচিত নহে। চাকুরীর গুনতি টাকায় বাধাধরা নিয়মে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিয়া বাঙালীর পক্ষে এসব ঝঞ্ঝাট বলিয়া মনে হইবে বুঝি, কিন্তু উপায়ই বা কি ? ঝঞ্ঝাট ছাড়া বৰ্ত্তমান দিনে পেটের ক্ষুধা মিটিবার ‘নান্ত পন্থা’। বর্তমানে সাধারণ বাঙালীর-কোন মূলধন নাই,বলিলেই চলে। দুই চার জনে মিলিয়া যদিও বা মূলধন সংগ্ৰহ করিল, কিন্তু মাল-বিক্রয়ের জন্য বিশ্বস্ত আড়তদার চাই । আড়তদারের সহায়তা ভিন্ন চালানি কাজ করা একরূপ অসম্ভব। বাঙালীকে ব্যবসামুখী করিতে হইলে মূলধন সরবরাহের জন্য আড়তদারী প্রতিষ্ঠান থাকা চাই-ই। বর্তমানে দেশে বসিয়া বাঙালী যেরূপ কষ্ট ভোগ করিতেছে, তাহাতে বিদেশে গয়া ঐ জাতীয় কাজ করিবার জন্ত লোকের হয়তে অভাব হইবে না।