পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፀፃ ব্যবসায়ে বাঙালী হাওৱেলী ক্যাঙ্কেল্প অসুপ্ৰিথা বাঙালীর ব্যাঙ্কে কোন প্রকার কারৰার (transaction) করিতে জনসাধারণের সাহস নাই। এই সকল ব্যাঙ্ক ধনী বা বড় বড় ব্যবসায়ীর কোন প্রকার সাহায্য পায় না । ৫২ টাকার চেক দিলে ফেরত হয়, এমন সব নামীয় হিসাবের তালিকায় ব্যাঙ্কের “লেজার’ ভৰ্ত্তি থাকে । ইহাতে বাঙালী-পরিচালিত ব্যাস্কেব দুর্ণাম হয়। অনুরোধ কিংবা খাতিরে পড়িয়া যদিই কোন ধনী বা বড় ব্যবসায়ী উহাতে চলতি হিসাব খোলেন, কিন্তু টাকা জমা দিয়াই সঙ্গে সঙ্গে চেক্ দিয়া তাহা উঠাইয়া লন। উক্ত টাকা দুই একদিনের জন্য খাটাইবারও ব্যাঙ্কের স্ববিধা হয় না । একমাত্র শেয়ার-বিক্রয়ের টাকা ছাড়া বাঙালী-পরিচালিত ব্যাঙ্কে স্বদে খাটানোর মত মজুত তহবিল বিশেষ কিছু থাকে না। কারণ বাঙালী প্রতিষ্ঠানে সাধারণের বিশ্বাস নাই। শেয়ার বিক্রয় করিয়াও কোন বাঙালী-পরিচালিত ব্যাঙ্ক আশানুরূপ টাকা পায় না। স্বদে টাকা ধার দেওয়াই ব্যাঙ্কের প্রধান ব্যবসা। কিন্তু উপযুক্ত পরিমাণ মজুত তহবিল না থাকিলে কি প্রকারে ব্যাঙ্কের উন্নতি হইতে পাবে ? অর্থাভাবে ব্যাঙ্কের কাজকৰ্ম্ম যেরূপই হউক, ঘরভাড়া, কৰ্ম্মচারীর বেতন প্রভৃতিতে নির্দিষ্ট মাসিক ব্যয় অল্প নয়। বিদেশী ব্যাঙ্ক শতকরা মাত্র ১॥• স্বদে স্থায়ী আমানত পায়, কাজেই তাহারা অপেক্ষাকৃত অল্প স্বদে টাকা ধার দিতে পারে। কিন্তু বাঙালীপরিচালিত ব্যাঙ্কগুলি বিদেশী ব্যাঙ্কের তিনগুণ স্বদ দিয়াও যথেষ্ট পরিমাণে আমানতকারীর টাকা পায় না। কাজেই অল্প স্বদে টাকা ধার দিয়া বিদেশী ব্যাঙ্কের সহিত তাহারা প্রতিযোগিতা করিতে সক্ষম इच्न नl । *