পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 3. - ব্যবসায়ে বাঙালী লেডিং'এর কাৰ্য্যেই ব্যাঙ্কের বেশী টাকা খাটে, এবং উহাতেই ব্যাঙ্কের লাভ বেশী । অনেক ব্যবসায়ী যে-সমস্ত মাল ষ্টীমারে কলিকাতার বাহিরে চালান করে, সেই চালানী মালের ষ্টীমার কোম্পানীর রসিদ-সহ খরিদারের নিকট প্রাপ্য টাকার বিল করিয়া ( Bill of Lading ) ব্যাঙ্কে জমা দিলে, ব্যাঙ্ক উক্ত টাকার শতকরা ৭-৮১২ টাকা তৎক্ষণাৎ উক্ত মাল-প্রেরককে অগ্রিম প্রদান করে। উক্ত মাল যে-দেশে প্রেরিত হয়, ব্যাঙ্ক তথাকার নিজ শাখা-অফিসের মারফতে কিংবা অস্ত কোন ব্যাঙ্কের সহিত পরস্পর টাকা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা রাখিয়া, উক্ত বিল অব লেডিং-এর টাকা আদায় করিয়া থাকে। এই কার্ধ্যের জন্ত ব্যাঙ্ক মাল-চালানদারের নিকট কমিশন পায়। এই প্রকার দাদনী কার্ধ্যে একদিকে যেমন ব্যাঙ্কের লাভ বেশী, অপর দিকে তেমনি নিরাপদও বটে। ইহাতে টাকা বেশীদিন আটকাইয়া থাকে না । বাঙালী-পরিচালিত ব্যাঙ্কগুলিতে এই সমস্ত কার্ধ্যে খাটাইবার মত যথেষ্ট টাকা নাই। কাজেই অন্যান্য দেশের ব্যাঙ্কের সহিত যোগসূত্র রাখিবারও উহাদের দরকার হয় না। বাঙালী-পরিচালিত ব্যাঙ্ক বৰ্ত্তমানে কোম্পানীর কাগজ, শেয়ার প্রভৃতি বন্ধক বা বিক্রয়ের দ্বারাই যাহা কিছু লাভ করে। বাংলার কোন কোন ব্যাঙ্ক ব্যবসায়িগণকেও শিল্প-বাণিজ্যে টাকা ধার দিয়া থাকে বটে, কিন্তু এই সমস্ত দাদন আশঙ্কিত-চিত্তে দিতে হয়। কারণ বাঙালী-পরিচালিত কোন ব্যাঙ্কেরই এখন পৰ্য্যন্ত এমন রিজার্ভ ফও নাই যে, যে-কোন ঝুকি সামলাইতে পারে। কাজেই ধার দিয়া যদি কোন ব্যবসায়ীর নিকট হইতে টাকা আদায় না হয়, তাহাতে যে-কোন মুহূর্তে বিপদ ঘটিবার সম্ভাবনা। এইরূপ নানা অস্ববিধার মধ্যে কাজ করিয়া বাঙালী-পরিচালিত ব্যাঙ্কগুলি ফত উন্নতি প্রদর্শনে সক্ষম হইবে না। তবে বিশেষ সাবধানতার সহিত কার্ধ্য পরিচালিত হইলে কিছুকাল পরে ইহারা দাড়াইয়া যাইবে ।