পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ$ ব্যবসায়ে বাঙালী মাত্রেরই খরিদার ও মহাজন উভয় পক্ষেরই বিশ্বাস অর্জন করিতে মা পারিলে উন্নতি ও পশার বৃদ্ধি পায় না। ব্যবসার নামে জুঙ্কাচুরি বৰ্ত্তমানে এক শ্রেণীর লোক দেখা যাইতেছে, যাহারা গোড়া হইতেই মহাজনদের ঠকাইবার সঙ্কল্প লইয়া ব্যবসায় আরম্ভ করে । তাহারা তাহাদের কারবারের এমন সব অদ্ভূত নাম দেয় যে, প্রয়োজনের বেলায় প্রকৃত মালিককে আর খুজিয়া পাওয়া যায় না। ঐ শ্রেণীর লোকেরা প্রথমত: কিছু মূলধন লইয়া কারবার খুলিয়া বসে, এবং যেদরে মাল খরিদ করে, সেই দরে কিংবা তারও কম দরে খরিদারকে মাল বিক্রয় করিয়া কাটুতির পরিমাণ অসম্ভব বৃদ্ধি করিয়া, মহাজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। মহাজনেরা মালের অত্যধিক কাটুতি দেখিয়া তাহাকে বেশী পরিমাণ টাকার মাল ধার দেয়। পরে ঐ শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা মহাজনের নিকট বেশী টাকার মাল ধার লইতে পারিলে, মালগুলি সস্তাদরে নগদ টাকায় বিক্রয় করিয়া কারবার বদ্ধ করিয়া সরিয়া পড়ে। ইহারা ব্যবসায়ী নহে,—জুয়াচোর। এই জাতীয় জুয়াচোরের দ্বারা প্রবঞ্চিত হইয়া মহাজনদের বিশ্বাস নষ্ট হওয়ায়, বৰ্ত্তমানে ভাল ব্যবসায়ীদেরও বাজারে ধারে মাল খরিদ করা মুস্থিল হইয়া পড়িতেছে। কেহ কেহু পরিবারের কোন নাবালকের নাম দিয়া কারবার আরম্ভ করে । উদ্দেশু, যদি উন্নতি হয় ভাল, আর যদি তাহা না হয়, তবে মহাজনেরা নালিশ করিয়া নাবালকের কিছুই করিতে পারিবে না। যেখানে গোড়াতেই এমন গলদ, সেখানে কখনই উন্নতি হয় না। “সাধু যাহার ইচ্ছা, ঈশ্বর তাহার সহায়”—একথা যে ব্যবসায়ে কত সত্য, খাটি ব্যবসায়ীমাত্রই তাহা উপলব্ধি করেন।