পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙtঙ্গী פאף পিতার কারবার পুত্র চালাইতেছে, এ অবস্থায় পিতার নামে পাওনা টাকার নালিশ হইলে, পিতা জবাব দেন,—“কারবার আমার পুত্রের। উক্ত কারবারে আমার পুত্রকে ধারে মাল দেওয়ার জন্ত আমি কখনও কোন মহাজনকে চিঠি-পত্র দেই নাই বা আমার পুত্রকে সে ক্ষমতাও প্রদান করি নাই ইত্যাদি ।” সুতরাং কারবারী লোকের কতকগুলি মোটামুটি আইন জানিয়া রাখা অতিশয় দরকার। কিন্তু ব্যবসায়ীরা স্বভাবতঃ এত সরল-বিশ্বাসী যে, কোন খরিদ্ধারকে ধারে মাল বিক্রয় করিবার সময়, তাহাদের মনে এমন চিস্তাও আসে না যে, টাকা-আদায়ে কোন প্রকার বেগ পাইতে হইবে। ভমকম্পক্তেতা পাওনাদার-মহাজনের সহিত খাটী ব্যবসায়ীর কদাচ কপট ব্যবহার করা উচিত নহে। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া মহাজনের দেনা শোধ করিতে অপারগ হইলে, দোকানের মালপত্র এবং খরিদ্ধারের নিকট প্রাপ্য টাকা মহাজনকে সরলভাবে বুঝাইয়া দিয়া যতদূর সম্ভব দেন শোধ করা উচিত। মহাজনকে কখনই আদালতে যাওয়ার স্বযোগ দিতে নাই। পাওনাদার মহাজন যদি বুঝিতে পারে যে, লোকটা সরল, ব্যবসায় করিতে গিয়া বাস্তবিক ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে, তখন তাহার উপর মহাজনের দয়া হয়। মহাজনগণ যদি দেনদারকে সত্যু সত্য সরল লোক বলিয়া বিশ্বাস করে, তাহা হইলে অনেক সময় মহাজনেরা দেনদারকে বজায় রাখার জন্য সাহায্য করিয়া থাকে । কোন ব্যবসায়ীরই হঠাৎ কারবার বন্ধ করা উচিত্ত আছে । কারবার বন্ধ হইলে পাওনা টাকা আদায় হয় না। খরিদ্ধারের নিকট পাওনা টাকা ৰাকী পড়িয়া থাকায় বা আদায় না হওয়ায় কারবারের মূলধনে যখন টানাটানি পড়ে, তখন ধার-বাকী বন্ধ করিয়া, পাওনা