পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী tyوي করে, তাহাতে ক্ষতি নাই, কিন্তু তাহার জ্ঞাতসারে একটি টাকাও লইবার উপায় ছিল না। ইহাতে বিরক্ত হইয়া আমি কলিকাতায় আসিয়া খামবাজার খালধারে বোস কোম্পানির কাঠের গোলাম প্রথমে শিক্ষানবিশী, পরে ১০২ টাকা মাহিনায় চাকুরী করি। তখন আমার ১৮১৯ বৎসর বয়স। আমি যেখানে চাকুরী করিতাম, সেখানে থাত লেখা, হিসাবপত্র রাখা ইত্যাদি শিক্ষার কোন সুবিধা ছিল না । কাঠগোলার মালিক নরেন্দ্রকৃষ্ণ বন্ধ মহাশয় অন্যত্র চাকুরী করিতেন । তিনজন কৰ্ম্মচারীর মধ্যে আমারই ছিল সৰ্ব্বোচ্চ পদ, অথচ কি প্রকারে ব্যবসায়ীর খাতা লিখিতে হয়, তাহা আমি জানিতাম না। আমাদের পার্থেই সমব্যবসায়ীর আর একটি কারবার ছিল ; তথায় ইতিনা ( যশোহর ) নিবাসী ক্ষীরোদচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য নামক জনৈক সুযোগ্য কৰ্ম্মক্ষম কৰ্ম্মচারী কাজ করিতেন। তিনি ছিলেন যার-পর নাই সরল ও অমায়িক প্রকৃতির লোক । হিসাব লেখা লইয়া আমি যখনি যে মুস্কিলে পড়িতাম, তিনি পরম যত্ন ও আগ্রহের সহিত আমাকে তাহা বুঝাইয়া দিতেন। ব্যবসায়ের খাতা লেখা, হিসাব রাখা প্রভৃতি সম্বন্ধে ক্ষীরোদ বাবু আমার গুরু । এজন্ত আমি তাহার নিকট চির-কৃতজ্ঞ । কেৱে সিনের এজে-স্তনী প্রহণ আমি এক দিকে কাঠগোলায় চাকুরী করিতাম, অপরদিকে সমস্ত সহরময় ঘুরিয়া ব্যবসায়ের অনুসন্ধান লইতাম। এমনি সময়ে ইণ্ডোবার্থ পেট্রোলিয়ম কোম্পানির আফিসে সংবাদ পাইলাম যে, দু'হাজার টাকা ডিপোজিটু দিলে কেরোসিন তেলের এজেন্সী পাওয়া যায়। কিন্তু টাকা কোথায় ? দেশে গিয়া ভ্রাতাদের সহিত একযোগে দলিল দিয়া মহাজনগণের নিকট টাকা ধার পাইতে যথেষ্ট চেষ্টা করিলাম, কিন্তু কেহই টাকা