পাতা:ব্যবসা ও বানিজ্য (সপ্তম বর্ষ).pdf/৭৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পাট ও পাটের ব্যবসায় ভারতবর্ষ হইতে যে সমস্ত পণ্য প্ৰতি বৎসর বিদেশে রপ্তানি হয়, তুলা ও পাটই তাহদের মধ্যে অন্যতম। তুলা ভারতবর্ষের প্রায় সকল প্রদেশেই জন্মিয় থাকে ; কিন্তু পাট উৎপন্ন হয় মুখ্যতঃ বাংলা দেশে। ‘মুখ্যতঃ’ বলিলাম, কেননা বিহার, উড়িষ্যা, কুচবিহার এবং আসামেও কিছু কিছু পাট উৎপন্ন হইয়া থাকে। তবে বাংলার তুলনায় তাহ নিতান্তই অল্প । শুধু যে ভারতের অন্যান্য প্রদেশেই পাট উৎপন্ন হয় না, তাহা নহে ৷ এক বাংলা ব্যতীত পৃথিবীর আর কোথাও ইহার চাষ নাই । ইহা বাংলার একচেটে y१ ।। পাট বাংলার একচেটে ; কিন্তু ইহার চাহিদা জগতের সর্বত্র। ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তার দিক দিয়া ইহা তুলার প্রায় সমকক্ষ বলিলেই চলে । কাজেই স্বভাবতঃই মনে হইতে পারে যে, বাংলার পাটBDBDD S BDD KKSgBBB BDDS DDDD S S DgBBB অন্য যে কোন দেশ এইরূপ একটা অপরিহার্য্য দ্রব্যের একচেটিয়া ব্যবসায় পাইলে, দুনিয়ার ঐশ্বৰ্য্য আনিয়া স্বদেশের সমৃদ্ধি বুদ্ধি করিত । কিন্তু এ দুর্ভাগ্য দেশে তাহা হইবার যে নাই । বাংলার ঐশ্বৰ্য্য বাঙালী ভোগ করতে পায় না-ইহাই বাংলার কঠোরতম VefVespio বাংলার পাট-চাষীরা ভারতবর্ষের প্রদেশের চাষীদের সহিত সমানই দুৰ্দশাপন্ন । সকলের একই দশা “অন্নাভাবে শীর্ণ চিন্তা জ্বরে জীর্ণ অনশনে তনু ক্ষীণ ।” সকলেরই মহাজনের নিকট দেনায় মাথার চুল 5动门列 বিকাইয়া আছে। সারা বর্ষা রৌদ্র বৃষ্টি মাথায় করিয়া, পাট উৎপন্ন করিয়া, সামান্য যাহা কিছু তাহারা উপার্জন করে তাহার অধিকাংশই ঋণ পরিশোধের নিমিত্ত মহাজনের শ্ৰীহস্তে অৰ্পণ করিয়া, আবার সারাবর্ষ ঋণ-লব্ধ অর্থেই তাহাদিগকে উদরপুত্তি করিতে ३११ ।। যে পাট না হইলে সভ্য জগৎ একপা-ও চলিতে পারে না-যে কোন মাল আমদানী রপ্তানি করিতে যে পাটের প্রয়োজন অপরিহাৰ্য্য, চাষা অমানুষিক পরিশ্রম স্বীকার করিয়া সেই পাট উৎপন্ন করতঃ তাহা মাত্র ৮/১০ টাকা মণ দরে বিক্রয় করিয়া ফেলিতে दJ श् । কিন্তু এক্সপ হইবার কারণ কি ?-- ( ১ ) ইহার প্রথম কারণ এই যে, এদেশের কৃষকের অন্যান্য দেশের কৃষকের মত শিক্ষিত নহে । তাহারা বাজারের অবস্থা বুঝে না । চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে যে সম্বন্ধ কি, সে জ্ঞান ও তাহদের নাই। এমন কি সুদূর পল্লীগ্রামের কৃষককুল অনেক সময় কলিকাতার বাজার দরের খোঁজ খবর পর্যন্ত

  • it ୫ ନମ୍ବୀ ।

২ । দ্বিতীয়তঃ, কৃষক দিগের কোন সজন্য বা প্ৰতিষ্ঠান নাই। ইয়েরামেরিকায় প্ৰায় প্রত্যেক দেশেই বিভিন্ন চাবীদের সঙ্ঘ আছে । চাষীদের স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রাখাই এই সকল সঙ্ঘের উদ্দেশ্য। ধনী ক্রেতা যেন দরিদ্র কৃষককে ঠকাইয়া লইতে না পারে।-এই সঙ্ঘ সেই দিকে দৃষ্টি রাখে। বাজারের অবস্থা বুঝিয়া, পর বৎসর মালের চাহিদা কত, এবং কি পরিমাণ যোগান দিতে পারিলে উৎপন্ন মাল উচ্চ মূল্যে বিক্রীত হইতে পারে—এই সব হিলাৰ