বলে মাতরম্ ! জাহান্নগত জাতিবিচাষ, বাল্যবিবাহ, পঞ্চগ্রহণ, কেলিষ্ঠ প্রভৃতি প্রথার ) সৰ্ব্বথা সম্ভবপর না হইলে, এখন হইতেই অল্পে অল্পে, এ সকলের অন্ততঃ আংশিক উচ্ছেদসাধন, এবং সমুদ্ৰ-যাত্রা প্রভৃতি প্রথার প্রবর্তন,—পিক্ষিত হিন্দুমাত্রেীর কর্তব্য। আমি আমাদের সমাজের_প্রচলিত উপাসনা-পদ্ধতির পরিৰঞ্জন করিতে_পরামর্শ দেই না । কারণ, মৰ্ম্মের সে কোমল স্থানে আঘাত করিয়া ৰেদনা দিলে প্রাণ বাচিবে না । আমি ব্যবহারিক জীবনের কোন কোন আচার-পদ্ধতির সংশোধনের— \: ও প্রবর্তনের কথাই এক্ষেত্রে বলিতেছি । বিরুদ্ধ মতাশ্রয়ীর প্রতিবাদ করিবেন—*সমাজ তো শুধু শিক্ষিত লোকদের নহে, উহা সাধারণের। কাযেই, শুধু শিক্ষিত লোকেরা ঐরূপ করিলে কি হইবে ?” আমি বলি—সমাজের ভিতরে থাকিয়া, শিক্ষিতের ধীরে ধীরে সাধারণ লোককে উপযুক্ত করিতে থাকুন ; এবং সেই সঙ্গে, নিজেরাও একটু অতি সামান্ত মনোবলের পবিচয় দিয়া, নিজেদের এই সকল সস্থাপদেশ কার্য্যে পৰিণত কবিয়া, দৃষ্টান্ত দেখাইতে অগ্রসর লেন। শিক্ষিতসম্প্রদায়ের সহানুভূতি লাভ করিয়া মিলিতে, মিশিতে পারিলে, সাধারণ লোকের জয়লর অনুসরণ করা বাবা হইৰেইহাই অলঙ্গনীয় নিয়ম। কিন্তু, দুর্লভ হইলে চলিবে না,—তুচ্ছ করিলে চলিবে না,—তাহাদিগকে ত্যাগ করিয়া, স্বাতন্ত্র্যাবলম্বন সামাজিক ।
পাতা:ব্যাধি ও প্রতিকার.pdf/৫৩
অবয়ব