পাতা:ব্যায়াম শিক্ষা - প্রথম ভাগ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যায়াম শিক্ষা–১ম ভাগ । s শক ন হইতে হইতেই পুনরায় মাহার করিলে অজীর্ণ রোগ জন্মে, এবং তাঁহাতে শরীর অতিশয় ক্লিষ্ট হয়। _ ব্যায়ামের বিধান। একেবারে অধিক কাল ধরিয়া কঠিন ব্যায়াম করা উচিত নহে। প্রত্যেক কঠিন ব্যায়ামের পর কিছু কাল বিশ্রাম করা আবশ্যক। যদি ব্যায়াম করিতে করিতে বুকের পার্থে বেদনা বোধ হয়, তবে তৎক্ষণাৎ ব্যায়ামে ক্ষান্ত হওয়া উচিত। যাহাদিগের শরীর অতি দুৰ্ব্বল, তাহাদিগের অতি সহজ ব্যায়াম অভ্যাস করা কৰ্ত্তব্য । যাহাতে শারীরিক পরিশ্রম অধিক হয় এমন ব্যায়াম তাহাদিগের পক্ষে অবৈধ । যাহাদিগের zittat f (heart-disease) থাকে তাহাদিগের পক্ষে ব্যয়াম নিষিদ্ধ। যাহাদিগের ঘাড় ছোট, মস্তক বড়, এবং সময়ে সময়ে অল্প পরিশ্রমে মাথা গরম হয়, অর্থাৎ যাহাদিগের মাথায় সহজে রক্ত উঠিবার সম্ভাবন, তাহাদিগের অতি সহজ ব্যায়াম ভিন্ন কঠিন ব্যায়াম অভ্যাস করা উচিত নহে, কেন না তাহাদিগের হঠাৎ এপোপ্লেক্সি অর্থাৎ সন্ন্যাস রোগ উপস্থিত হইতে পারে। যাহাদিগের ক্ষয়কাশ, রক্তবমন ও হার্ণিয়া (অন্ত্ৰ-বৃদ্ধি রোগ ) থাকে, তাহারা ব্যায়াম হইতে নিবৃত্ত থাকিলেই ভাল হয়।