পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ব্রজবিলাস।

 যদি আপনারা বলেন, তুমি কে হে বাপু; তোমার এত বড় আম্পর্ধা কেন। তুমি, বামন হয়ে, আকাশের চাঁদ ধরিতে চাও। তোমার এমন কি ক্ষমতা, যে তুমি বিশ্ববিজয়ী দিগ্গজ পণ্ডিতের গুণ বর্ণনা করিবে। আমার উত্তর এই, সবিশেষ না জানিয়া শুনিয়া, সহসা আমায় হেয়ঞ্জান করিবেন না। আমি এক জন; যথার্থ কথা বলিতে গেলে, আমি নিতান্ত যেমন তেমন এক জন নই। আমার পরিচয় শুনিলে, আপনারা চমকিয়া উঠিবেন, সে বিষয়ে এক কড়ারও সংশয় নাই। ‘বামন হয়ে আকাশের চাঁদ ধরিতে চাও’, এ কথাটি, বোধ হয়, আপনারা ঠাট্টা করিয়া বলিয়াছেন। আমি কিন্তু, ঠাট্টা না ভাবিয়া, শ্লাঘা জ্ঞান করিতেছি। আমাদের বংশমর্যাদা অতি বেয়াড়া। বামন বংশের আদিপুরুষ তারতবর্ষের পঞ্চম অবতার। তিনি, ত্রিলোকবিজয়ী বলি রাজার যজ্ঞক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়া, কি ফেলাৎ, কি কারখানা, করিয়াছিলেন, তাহা কি কখনও আপনাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে নাই।

বাপ কা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া
কুছ না রহে তব ভি থোড়া।

যদিও, যুগমাহাত্ম্যে, আদিপুরুষের সম্পূর্ণ ক্ষমতা আমাদের না থাকে, কিছু ত থাকিবে। তিনি এক পদে সমস্ত আকাশমণ্ডল আক্রমণ করিয়াছিলেন। আমরা কি, তাঁহার বংশের তিলক হইয়া, আকাশমগুলের এক অংশেও হাত বাড়াইতে পারিব না। অবশ্য পরিব। অল্প, ইহাও বিবেচনা করা আবশ্যক, আমি খাঁহাকে ধরিতে চাহিতেছি,