পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় উল্লাস।
১১

বিদ্যাসাগরের উপদেশ অনুসারে, কালেক্টর সাহেবকে জানাইলেন।

 প্রথম শ্রাদ্ধ শাস্ত্র অনুসারে হয় নাই, এজন্য আমাদিগকে, একাদশ দিবসে, পুনরায় শ্রাদ্ধ করিতে হইয়াছে, ইহা ভিন্ন দ্বিতীয় পক্ষের আর জবাব দিবার পথ ছিল না। সুতরাং, প্রথম শ্রাদ্ধ অসিদ্ধ, দ্বিতীয় শ্রাদ্ধ শাস্ত্র অনুসারে হইয়াছে, এই মর্ম্মের ব্যবস্থাপত্র সংগ্রহ আবশ্যক হইয়া উঠল। তাঁহারা অধমতারণ ব্রজনাথ বিদ্যারত্ন খুড়র শরণাগত হইলেন। বিদ্যারত্ন তাদৃশ ব্যবস্থা দিতে সম্মত হইলেন, এবং তাঁহাদের সঙ্গে বিদ্যাসাগরের নিকটে আসিয়া কহিলেন, আমি একটি ব্যবস্থার কথা বলিব, শুনিয়া আপনাকে সম্মতি দিতে হইবেক। বিদ্যাসাগর কহিলেন, আপনকার যাহা বক্তব্য আছে, বলুন। তদনুসারে, বিদ্যারত্ন বিদ্যাপ্রকাশ করিতে আরম্ভ করিলেন।

 কিয়ৎ ক্ষণ পরে, বিদ্যারত্ন এমন একটি বচন আবৃত্তি করিলেন যে, তাহা দ্বারা, প্রথম শ্রাদ্ধ অসিদ্ধ ও দ্বিতীয় শ্রাদ্ধ শাস্ত্রসিদ্ধ বলিয়া, বোধ হইতে পারে। এই বচন শুনিয়া, বিদ্যাসাগর বিদ্যারত্নকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনি ও পক্ষের ব্যবস্থা কি দেখিয়াছেন। বিদ্যারত্ন অম্লানবদনে উত্তর করিলেন, দেখিয়াছি কি, আমি ঐ ব্যবস্থায় নাম স্বাক্ষর করিয়াছি। বিদ্যাসাগরের বোধ ছিল, বিদ্যারত্ন ঐ ব্যবস্থায় সম্মত নহেন, এজন্য বিপরীত পক্ষের সমর্থন করিতেছেন। বিদ্যারত্ন পূর্ব্ব ব্যবস্থায় নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন, এখন আবার ঐ ব্যবস্থায় দোষারোপ করিয়া,