পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
ব্রজবিলাস

বিপরীত পক্ষের পোষকতা করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। ইহা বুঝিতে পারিয়া, তিনি কিয়ৎক্ষণ হতবুদ্ধির মত হইয়া রইিলেন, অনন্তর বিদ্যারত্নকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, আপনি চান কি; আপনি ত বড় মজার লোক; পূর্ব্বে যে ব্যবস্থায় স্বাক্ষর করিয়াছেন, এখন আবার, ঐ ব্যবস্থা শাস্ত্রবিরুদ্ধ বলিয়া, বিচার করিতে বসিয়াছেন। আপনাকে জিজ্ঞাসা করি,যখন পূর্ব্ব ব্যবস্থায় স্বাক্ষর করেন, তখন কি এ বচনটি আপনার উপস্থিত হয় নাই। বিদ্যারত্ন, সহাস্য বদনে, উত্তর করিলেন, ব্যবস্থা দিবার সময় কি অত বচন ফচন দেখা যায়। এই অদ্ভুত কথা শুনিয়া, বিদ্যাসাগর কহিলেন, বিদ্যারত্ন মহাশয়, ও কথা উচ্চৈঃ স্বরে কহিবেন না। ঐ দেখুন, ন্যূনাধিক পঞ্চাশ জন ভদ্র লোক দাঁড়াইয়া কৌতুক দেখিতেছেন। হঁহারা নানা স্থানের লোক। এখান হইতে বহির্গত হইয়াই, বলিতে আরম্ভ করিবেন, নবদ্বীপের প্রধান স্মার্ত্ত আপন মুখে কবুল দিলেন, ব্যবস্থা দিবার সময় বচন ফচন দেখা যায় না। ব্যবস্থা দেওয়া আপনকার জীবিকা; কিন্তু, এ কথা সর্ব্বত্র প্রচারিত হইলে, আপকানার জীবিকার হানি হইবেক। এই বলিয়া, বিদ্যাসাগর দণ্ডায়মান লোক গুলির দিকে চাহিয়া কহিলেন, আমি আপনাদের নিকট এই ভিক্ষা চাহিতেছি, আপনারা এ কথা কোথাও ব্যক্ত করিবেন না; করিলে, ব্রাহ্মণের অন্ন মারা যাইবেক।

 ইহা কহিয়া, বিদ্যাসাগর বিদ্যারত্ন কে বলিলেন, বিদ্যারত্ন মহাশয়, আপনিও কিছু লেখা পড়া শিখিয়াছেন, আমিও