পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় উল্লাস।
২১

রুষ্টিতে চাই না। কারণ, ইহা সর্ব্ববাদিসম্মত স্থির সিদ্ধান্ত

এক আধারে সকল গুণ বর্তে না;

এবং সুপ্রসিদ্ধ বিচারসিদ্ধ কথাও আছে,

গাধা সকল আর বইতে পারেন,
কেবল ভাতের কাঠিটি সইতে পারেন না।

এই সমস্ত অনুধাবন করিয়া দেখিলে, সাধুসমাজের অভিমত নির্ম্মল সনাতন ধর্ম্মের এই আংশিক দুর্ব্বলতা বা পক্ষপাতিতা দেখিয়া, অসন্তুষ্ট হওয়া কদাচ উচিত নহে। এ দেশের সাধুসমাজের সম্বুদ্ধি, সদ্বিবেচনা, সৎপ্রবৃত্তি প্রভৃতির পূর্ব্বপর যেরূপ অপুর্ব্ব পরিচয় পাওয়া যাইতেছে, এবং, সেই প্রশংসনীয় সাধুসমাজের অভিমত নির্ম্মল সনাতন ধর্ম্মের অপার মহিমা, অহরহঃ, যেরূপ প্রত্যক্ষ হইতেছে, তাহাতে এ উভয়কে যুক্তকণ্ঠে অকপট সাদুবাদ প্রদান করা সর্ব্বদেশীয় সর্ব্ববিধ ব্যক্তি মাত্রের সর্ব্বতোভাবে অবশ্যকর্ত্তব্য কর্ম্ম; যিনি না করিবেন, তিনি, শ্রীমর্তী যশোহরহিন্দুধর্ম্মরক্ষিণী সভা দেবীর অকাট্য কয়তা অনুসারে,ধর্ম্মদ্বারে পতিত হইবেন।

 যাঁহারা আমাকে জানেন, তাঁহারা মনে করেন, আমি বড় চতুর, চালাক, বুদ্ধিক্ষ্ণীবী জন্তু। তাঁহারা কেন আমাকে ওরূপ ভাবেন, তা আমি ঠিক জানি না। বোধ হয়, আমি বড় ফাজিলচালাক, তাঁহাদের চক্ষে ধুলিপ্রক্ষেপ করিয়া, অন্ধ করিয়া রাখিয়াছি, তাই তাঁহারা ওরূপ মনে করেন, স্পষ্ট কথা বলিতে গেলে, আমি বিদ্যাবাগীশ খুড়দের মত, গর্দ্দভচুড়ামণি; নতুবা, অকারণে, এত ফেচফেচ করিতেছি