পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় উল্লাস।
২৩

সমুচিত সমালোচনা হওয়া, সর্ব্বতোভাবে, উচিত ও আবশ্যক। কিন্তু, এই বিদকুটে সমালোচনা যার তার কর্ম্ম নহে। যেমন গ্রন্থকর্ত্তা, তেমনই সমালোচক চাই। যেমন বুনো ওল, তেমনই বাঘা তেঁতুল, অথবা, সাধুভাষায় বলিতে গেলে, যেমন কুকুর তেমনই মুগুর, না হইলে, বিশিষ্টরূপ ফলদায়ক হইয়া উঠে না। ফলকথা এই, আমার মত ফাজিল, চালাক, হুঁসিয়ার লোক ভিন্ন, অন্য কোনও মহামহোপাধ্যায় এই গ্রন্থের, প্রকৃত প্রস্তাবে, সমালোচনা করিতে পারিবেন, ইহা কোনও মতে সম্ভব নহে। সুতরাং, অগত্যা, আমাকেই এই গ্রন্থের সমালোচনা ব্রতে দীক্ষিত হইতে হইবেক। ইহাতে আমি কিছুমাত্র ক্লেশবোধ ৰা লোকসানজ্ঞান করিব না; কারণ, এই অপূর্ব্ব গ্রন্থের সমলোচনায় প্রবৃত্ত হইলে, যত মজা, যত আমোদ পাইব, বোধ হয়, এ জন্মে আর আমার ভাগ্যে সেরূপ ঘটা সম্ভব নহে। শ্রীমান্ বিদ্যারত্ন খুড়র নিকট যে কয়টি প্রশ্ন করিতেছি, ঐ সকল প্রশ্নের উত্তর পাইলেই, এক ক্ষুরে দুই খুড়র মাখা মুড়াইব; কারণ, দুই খুড়রই বিদ্যাপ্রকাশ একই রকমের। অর্থাৎ,

এ পিঠ ও পিঠ দুই পিঠ সমান।

সুতরাং, এক উদ্যোগেই, উভয় খুড়র সম্মান ও সদগতিদান হইবেক, স্বতন্ত্র অনুষ্ঠানের প্রয়োজন থাকিবেক না।

তেনৈব চ সপিগুত্বৎ তেনৈবাব্দিকমিষ্যতে।

 এক অনুষ্ঠানেই সপিণ্ডীকরণ ও একোদ্দিষ্ট সম্পন্ন হইয়া যায়।

ইতি শ্রীব্রজবিলাসে মহাকাব্যে কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য কৃতৌ

তৃতীয় উল্লাসঃ।