পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
ব্রজবিলাস

প্রবৃত্তি না হইতে পারে, সুতরাং সম্পূর্ণ আপঙ্গ উপস্থিত। পরাশরবচন সেই বিষয়েই বিশেষবিধি হইতেছে।

 খুড় মহাশয়ের উপসংহারভাগের এই অংশটি দেখিয়া, আমার সন্দেহ হইতেছে, “যখন আসরে নামিব, তোমাদের হইয়াই নাচিব ও গাইব’, এই আশয় দিয়া, নলডাঙ্গার চেনা বাহাদুরের নিকট হইতে, তৈলবট লওয়া হইয়াছে। যাহা লিখিয়াছেন, তাহা দ্বারা, কৌশল করিয়া, আঁতিকুল, বৈষ্ণবকুল, উভয় রক্ষা করা হইয়াছে। প্রথমতঃ, বিধবাবিবাহ শাস্ত্রবিরুদ্ধ ও অসম্ভব, এইরূপ লিখিয়া, মতী যশোহহিন্দুধর্ম্মরক্ষিণী সভা দেবীর মন রাখিয়াছেন; আর, উপরি নির্দিষ্ট অংশটুকু লিখিয়া, নলডাঙ্গার চেনা বাহাদুরের মান রাখিয়াছেন। এক্ষণে, স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, বিধবার বিবাহপক্ষে শ্রীমা বিদ্যায়তু খুড়র সম্পূর্ণ আন্তরিক টান আছে, অন্য পক্ষে কেবল মৌখিক। কারণ, বিবাহের পক্ষে যাহা লিখিয়াছেন, তাহা অকাট্য; বিবাহের বিপক্ষে যাহা লিখিয়াছেন, তাহা টেকসই নয়। পরাশরুবচন বাঙ্গতা কন্যার বিষয়ে, এই যে কথা বলিয়াহেন, সে ছেলেখেলা মাত্র। কারণ, এ দিকের চন্দ্র ও দিকে উঠিলেও, পরাশরবচন বাত্তাবিষয়ক, ইহা কদাচ সার্য্য হইবার নহে। আর, এ দিকে, কাশ্যপছনে বাঙ্গা প্রভৃতি স্ত্রীদিগের বিবাহের যে নিষেধ আছে, সেই নিষেধ রহিত করিয়া, পরাশর বিবাহের বিশেষ বিধি দিয়াছেন, এই যে নির্দেশ করিয়াছেন, ইহা অকাট্য। নলডাঙ্গার চেনা বাহাদুরকে, প্রথমতঃ, লক্ষ্মীছাড়া ও বক্কেশ্বর ঠাহ-