পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ উল্লাস।
৩৭

 যে আহামক মহামহোপাধ্যায়, বিদ্যাবাগীশ পুড়দের বাকে বিশ্বাস ও ব্যবস্থায় আস্থা করেন, তাঁর বাপ নির্বংশ।

ষষ্ঠ প্রশ্ন।

যে প্রসিদ্ধ পরিবারে, পরম পবিত্র গোমাংস প্রভৃতি পাক করিয়া দিবার নিমিত্ত, বিচক্ষণ মুসলমান পাচক, আর বিশুদ্ধ শূকরমাংস পাক করিয়া দিবার নিমিত্ত, উপযুক্ত হাড়ি পাচক নিযুক্ত থাকে, সেই পবিত্র পরিবারের অতি পবিত্র। পুরোহিতকুলে দোষম্পৰ্শ হইতে পারে কি না।

যদিও বিধবাবিবাহের সহিত, ঈদৃশ প্রশ্নের কোনও সংঅব নাই, তথাপি, অনেক দিন অবধি, এই বিষয়টি জানিবার নিমিত, ' আমরা অনেকে অতিশয় উৎসুক আছি। এজন্য, এই সুযোগে, এই পরম সুন্দর কর্ণসুখকর প্রশ্নটি অমায়িক, উদারচিত্ত, নদিয়ার চাঁদ খুড় মহাশয়ের টুকটুকে রাঙা, পায়ে, প্রগাঢ় ভক্তিযোগ সহকারে, চন্দনচর্চিত পুস্পাঞ্জলি স্বরূপ, সমর্পিত হইল।

 এই কয় প্রশ্নের উত্তর পাইলেই, বিদ্যারত্ন ও কপিরত্ন, উভয় ধুড় মহোদয়ের সঙ্গে, নানা রঙ্গে, হুড়হুড়ি ও গুঁত গুতি আরম্ভ করিব। প্রশ্নের উত্তর পাইলে, হাম ও ফোৎ উপস্থিত করিবেক, এমন স্থলে, উত্তর না দেওয়াই ভাল, এই ভাবিয়া, চালাকি করিয়া, লেজ গুটাইয়া বসিয়া থাকিলে, আমি হাড়িব না। আমি খুড়র বড় খাতির রাখি, এজন্য প্রসনোহাকে এক মাস মিয়াল দিতেছি; এই মিয়া মধ্যে উত্তর না পাইপে, সঙ্কল্পিত তুমুল কাণ্ড অবধারিত উপস্থিত করিব। যদি না করি, খুড়র মাথা খাই।