পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় সংস্করণের বিজ্ঞাপন।


ব্রজবিলাস নিঃশেষিত হইয়াছে। কিন্তু, গ্রাহকবর্গের আগ্রহনিবৃত্তি হয় নাই। এজন্য অনেকের অনুরোধপরতন্ত্র হইয়া, এই মহাকাব্য পুনরায় মুদ্রিত করিতে হইল।

 ফাজিলচালাকেরা স্থির করিয়া রাখিয়াছেন, তাঁহাদের মত বিজ্ঞ, বোদ্ধা, যোদ্ধা, ভূমণ্ডলে আর নাই। তাঁহারা যে বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত করেন, অন্যে যাহা বলুক, তাঁহাদের মতে, তাহা অভ্রান্ত ও অকাট্য। শুনিতে পাই, আমার এই ক্ষুদ্র মহাকাব্য খানি অনেকের পছন্দসই জিনিস হইয়াছে। সেই সঙ্গে, ইহাও শুনিতে পাই, ফাজিলচালাকেরা রটাইতে আরম্ভ করিয়াছেন, ইহা বিদ্যাসাগরের লিখিত। যাঁহারা সেরূপ বলেন, তাঁহারা যে নিরবচ্ছিন্ন আনাড়ি, তাহা, এক কথায়, সাব্যস্ত করিয়া দিতেছি।

 এক গণ্ডা এক মাস অতীত হইল, বিদ্যাসাগর বাবুজি, অতি বিদকুটে পেটের পীড়ায় বেয়াড়া জড়ীভুত হইয়া, পড়িয়া লেজ নাড়িতেছেন, উঠিয়া পথ্য করিবার তাকত নাই। এ অবস্থায়, তিনি এই মজাদার মহাকাব্য লিখিয়াছেন, এ কথা যিনি রটাইবেন, অথবা, এ কথায় যিনি বিশ্বাস করিবেন, তাঁহার বিদ্যা, বুদ্ধির দৌড় কত, তাহা সকলে, স্ব স্ব প্রতিভাবলে, অনায়াসে উপলব্ধি করিতে পারেন।

 আমার প্রথম, বংধর, “অতি অল্প হইল”, ভুমিষ্ঠ হইলে, কেই কেহ, সন্দেহ করিয়া, কোনও মহোদয়কে জিজ্ঞাসা করিতেন, এই পুস্তক খানি কি আপনকার লিখিত? তিনি, কোনও উত্তর না দিয়া, ঈষৎ হাসিয়া, মৌনাবলম্বন করিয়া থাকিতেন। তাহাতে অনেকে মনে করিতেন, তবে ইহা ইঁহারই লিখিত। বিদ্যাসাগর মহাদয় সেরূপ চালাকি খেলেন কি না, ইহা জানিবার জন্য, এ বার আমি,