করিয়া দেন। ভ্রুনহত্যাও, পৰিত্র সাধুসমাজের প্রাতঃস্মরনীয় চাঁই মহোদয়দিগের ন্যায়, স্থির চিত্তে বুৰিয়া দেখিলে, তাহার অতিরিক্ত কিছুই নহে। সাধুসমাজের অভিমত অভিধান গ্রন্থে, ভ্রুনহত্যা শব্দের যে বিশুদ্ধ ও বিশদ ব্যাখ্যা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতেও ইহাই প্রতিপন্ন হয়। যথা, -
ভ্রুণহত্যা-সৎ, প্রীতিপ্রদ প্রয়োগবিশেষ দ্বারা, পেটে ফাঁপবিশেষ জন্মিলে, ও মলবিশেষ জমিলে, প্রক্রিয়াবিশেষ দ্বারা, পেটের ঐ ফাঁপবিশেষের নিবারণ, ও পেট হইতে ঐ মলবিশেষের নিকাশন।
কলকথা এই, ভ্রুণহত্যা, কিঞ্চিৎ অংশেও, দোষাবহ নহে; দোষাবহ হইলে, আমাদের এই পরম পবিত্র অতি বিচিত্র সাধুসমাজে, কদাচ, সচরাচর এরূপ প্রচলিত থাকিত না। এইরূপ চিরচলিত, দোষম্পর্শশূন্য, সার্ব্বজনীন সদাচারকে পাপ বলিয়া গণ্য করিয়া, তন্নিবারনার্থে বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত ও আবশ্যক বলিয়া, পাণ্ডিত্যপ্রকাশ করা, নিরবচ্ছিন্ন উন্মাদের লক্ষণ ব্যতীত আর কিছুই প্রতীত হয় না।
সাধুসমাজের বহুদর্শী বিচক্ষণ চাঁই মহোদয়বর্গের মুখে সদাসর্ব্বদা শুনিতে পাই, বিধবারা অবিবাহিত থাকাতে, সমাজের অশেষবিধ হিতসাধন হইতেছে; তাহাদের বিবাহ প্রচলিত হইলে, দেশটা একবারে ছারখার হইবেক। ইরেজি বিদ্যায় মূর্তিমত্ত, জলজিয়ন্ দেশহিতৈষী মহাপুরুষদিগের মুখেও, ঐরূপ কর্ণসুখকরী সাধুভাবা, সময়ে সময়ে, শুনিতে পাওয়া যায়। কিন্তু, এ বিষয়ে