পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম উল্লাস।
৪৭

করিয়া দেন। ভ্রুনহত্যাও, পৰিত্র সাধুসমাজের প্রাতঃস্মরনীয় চাঁই মহোদয়দিগের ন্যায়, স্থির চিত্তে বুৰিয়া দেখিলে, তাহার অতিরিক্ত কিছুই নহে। সাধুসমাজের অভিমত অভিধান গ্রন্থে, ভ্রুনহত্যা শব্দের যে বিশুদ্ধ ও বিশদ ব্যাখ্যা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতেও ইহাই প্রতিপন্ন হয়। যথা, -

 ভ্রুণহত্যা-সৎ, প্রীতিপ্রদ প্রয়োগবিশেষ দ্বারা, পেটে ফাঁপবিশেষ জন্মিলে, ও মলবিশেষ জমিলে, প্রক্রিয়াবিশেষ দ্বারা, পেটের ঐ ফাঁপবিশেষের নিবারণ, ও পেট হইতে ঐ মলবিশেষের নিকাশন।

 কলকথা এই, ভ্রুণহত্যা, কিঞ্চিৎ অংশেও, দোষাবহ নহে; দোষাবহ হইলে, আমাদের এই পরম পবিত্র অতি বিচিত্র সাধুসমাজে, কদাচ, সচরাচর এরূপ প্রচলিত থাকিত না। এইরূপ চিরচলিত, দোষম্পর্শশূন্য, সার্ব্বজনীন সদাচারকে পাপ বলিয়া গণ্য করিয়া, তন্নিবারনার্থে বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত ও আবশ্যক বলিয়া, পাণ্ডিত্যপ্রকাশ করা, নিরবচ্ছিন্ন উন্মাদের লক্ষণ ব্যতীত আর কিছুই প্রতীত হয় না।

 সাধুসমাজের বহুদর্শী বিচক্ষণ চাঁই মহোদয়বর্গের মুখে সদাসর্ব্বদা শুনিতে পাই, বিধবারা অবিবাহিত থাকাতে, সমাজের অশেষবিধ হিতসাধন হইতেছে; তাহাদের বিবাহ প্রচলিত হইলে, দেশটা একবারে ছারখার হইবেক। ইরেজি বিদ্যায় মূর্তিমত্ত, জলজিয়ন্ দেশহিতৈষী মহাপুরুষদিগের মুখেও, ঐরূপ কর্ণসুখকরী সাধুভাবা, সময়ে সময়ে, শুনিতে পাওয়া যায়। কিন্তু, এ বিষয়ে