পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম উল্লাস।
৫৩

কেন। আমাতে ও নৈয়ায়িক বিদ্যারত্নতে তফাৎ কি। আমরা উভয়েই ত, বিদায়ের সময়, এক ব্যবস্থায় স্বাক্ষযর করিয়াছি। ইহা সত্য বটে, আপনারা উভয়েই এক ব্যবস্থায় স্বাক্ষর করিয়াছেন; কিন্তু, সে জন্যে আমি আপনাদিকে ধর্ম্মতঃ অপরাধী করিতে পারি না। সে স্বাক্ষর আপনারা স্বেচ্ছা পূর্ব্বক করেন নাই; তাহা কেবল পয়সাওয়ালাদের খাতিরে ও পীড়াপীড়িতে করিতে হইমাছে। ঐ স্বাক্ষর না করিলে, আপনাদের, এ জন্মে আর, যশোহর প্রদেশে প্রবেশ করিবার অধিকার থাকিত না; এবং সেরূপ ঘটিলে, আমিই আবার আপনাদিগকে, আনাড়ির চুড়ামণি ও বেঅকুফের শিরোমণি বলিয়া, শত সহস্র বার তিরস্কার করিতাম। পয়সাওয়ালাদের মনোরঞ্জনই বিদ্যাবাগীশ দলের বিদ্যাভ্যাস ও শাস্ত্রানুশীলনের এক মাত্র উদ্দেশ্য, ইহা কাহারও অবিদিত নহে। আমার সুক্ষ বিচারে, সে বিষয়ে আপনাদের সাত খুন মাপ। আপনকার সন্তোষার্থে, অধিক আর কি বলি, পয়সাওয়ালাদের খাতিরে বা পীড়াপীড়িতে, কোনও কর্ম্ম করিলে, যদি কেহ আপনাদের উপর, কোনও প্রকায়ে, দোষামোপ করিতে অগ্রসর হয়, আমি খোদহাকিমি করিয়া, শ্রীমতী যশোহরহিন্দুধর্ম্মরক্ষণীসভা দেবীর সহায়তা গ্রহণ পূর্ব্বক, তাহাকে ফাঁসি দিতে, শূলে চড়াইতে, অথবা জন্মের মত দ্বীপান্তরে পাঠাইতে, ক্ষণ মাত্র বিলম্ব করিব না।

 কিছু দিন হইল, অধুনা লোকান্তরবাসী, এক চিরস্মরণীয়, বহুদর্শী বিচক্ষণ,