পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রখম পরিশিষ্ট।
৫৭

 অপিচ, প অক্ষরটি মোলায়েম, ব অক্ষরটি কড়া; জনমেজয় ধুড় যেরূপ রসিকের চূড়ামণি, তাঁহার উপাধিটি যত মোলায়ম অক্ষরে বানান যাইবেক, ততই মানানসই হইবে; এ বিবেচনাতেও, কপিরত্ন বলাই উচিত ও আবশ্যক। সভায় উপস্থিত বিদ্যাবাগীশ পালের মধ্যে, যদি কেহ বহুদর্শী আলঙ্কারিক থাকেন, তিনিই এই মীমাংসাটির প্রকৃত রূপ তাৎপর্য্য গ্রহণ করিতে পারিবেন। স্মার্ত্ত নৈয়ায়িক প্রভৃতি পালের গোদারা, ফেলফেল করিয়া চাহিয়া থাকিবেন, ভিতরে প্রবেশ করিতে পারিবেন না।

 অপরঞ্চ, প্রামাণিক লোকের মুখে শুনিতে পাওয়া যায়, ঘটকচূড়ামণি, প্রথম দশায়, “কচি পাঁঠা” এই অপুর্ব উপাধি পাইয়াছিলেন। বোকা পাঁঠা উপাধি হইলে, তিনি লোকালয়ে অধিকতর বলবিক্রমশালী বলিয়া প্রতিষ্ঠিত হইতে পারিবেন, এই প্রবল যুক্তি দেখাইয়া, কেহ কেহ কচি শব্দ স্থলে বোকা শব্দ বসাইতে চাহিয়াছিলেন। এ বিষয়ে নানা তর্ক ও বিস্তর বাদানুবাদও হইয়াছিল। অবশেষে, “বোকা পাঁঠা” অপেক্ষা কচি পাঁঠা” মোলায়ম, নিরবচ্ছিন্ন এই বিবেচনায়, “কচি পাঁঠা উপাধিই সাব্যস্ত হয়। এ অনুসারে, কপিরত্ন উপাধি সাব্যস্ত হওয়াই, ঘটকচূড়ামণি খুড় মহাশয়ের পক্ষে, সর্ব্বতোভাবে বিধিসিদ্ধ হইতেছে।