পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> R. ) বল্লালসেন প্ৰবল প্ৰতিহিংসার বীজ গাঢ় রূপে সমাজে প্রোথিত করিলেন। সেই বীজ বৃক্ষ হইয়া এতাবৎকােল লুক্কায়িত ভাবে বর্ণ ধৰ্ম্ম লোপ করিতেছিল। কায়স্বজ্ঞগণের মনোমধ্যে কোনরূপ সন্দেহ এতাবৎ উত্থাপিত না হওয়ায় ও দেশ, কাল, পাত্ৰ ভেদে সুযোগ না পাওয়ায়, কায়স্থগণ বল্লালের চাতুরীপুর্ণ নবাবিষ্কৃত কুল প্রথা রক্ষা করিতেছিলেন । অজ্ঞাতভাবে অবস্থিত বৃক্ষটী অত্যন্ত পুরাতন হওয়ায় মৃত্যুন্মখ হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়। সেই কারণে বৰ্ত্তমান কালে সমগ্ৰ বঙ্গের কায়স্থ জাতির চারি শ্রেণীর ও উত্তর পশ্চিম প্ৰদেশস্থ কায়স্থগণের মধ্যে পুত্ৰ কন্যা আদান প্রদানের প্রস্তাবে কৌলীন্য প্রথার অপকারিতা কায়স্থ্যগণ বুঝিয়াছেন । বঙ্গ দেশীয় আনুষ্ঠানিক কায়স্থসভার নিয়মাবলীতে ২১ সংখ্যক নিয়মে “কৌলীন্যের আবশ্যক নাই” বলিয়া লিখিত হইয়াছে। বিবাহে পণ লওয়া প্ৰভৃতি কাৰ্য্য সকল কেবল কৌলীন্যের দোহাই দিয়া হইয়া থাকে। অনেকে অনুমান করেন আন্তর্গাণিক বিবাহ প্ৰথা প্ৰচলিত হইলে বিবাহের ব্যয় নিশ্চয়ই * ক্ষেপ হইবে এবং বল্লাল সেন কৃত বৰ্ণধৰ্ম্ম-লোপের-নিমিত্ত-রূপ কৌলীন্য প্রথা ক্ৰমে বিলুপ্ত হইবে তদ্বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । রাজা বল্লালসেন কায়স্থ ও অন্যান্য সমাজে এক কৌলীন্য প্রথার সৃষ্টি করায় তাহার অভিলাষ পূর্ণ হইয়াছিল। এমতে চতুৰ্ব্বৰ্ণ বিলুপ্ত হইতে চলিল। সমাজে কুলীন কুলীন করিয়া বঙ্গদেশবাসীগণ মত্ত হইলেন । কায়স্থগণের মধ্যে কেহ কেহ আদ্যরস ক্রিয়া করিয়া সম্মানিত মনে করিলেন। সাধ্যমৌলিক ও নবীন সিদ্ধমৌলিকগণের মধ্যে ঐ ক্রিয়া প্ৰভূত পরিমাণে চলিতে লাগিল। দত্ত নিঃশব্দে দেখিলেন যে তঁহার কুলীনদিগের সহিত