পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Rbr. ) ܓ অপকার ব্যতীত উপকার করেন নাই। যে সমাজে শূদ্ৰাখ্যা প্ৰাপ্ত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত অধিক এবং তঁাহারাই যে সমাজে গণ্যমান্য ব্যক্তি বলিয়া পরিচিত সেই সমাজকে সমাজ বলিয়া জ্ঞান করা কতদূর শাস্ত্ৰ সঙ্গত তাহ পাঠক মাত্ৰেই বিচার করিবেন। শাস্ত্ৰমতে শূদ্র জাতির সমাজ নাই। শূদ্র জাতি স্বভাবতঃ আচার ভ্ৰষ্ট । কায়স্থ জাতিতে সেই শূদ্ৰাখ্যা প্ৰদান করিয়া ঐ জাতিকে শূদ্ৰ মনে করা যে কতদূর অসঙ্গত তাহা বর্ণনাতীত। বল্লাল কুল-লক্ষণে বিধান করিলেন “আচারো বিনয়ে বিদ্যা প্রভূতি” । কিন্তু এ স্থলে জিজ্ঞাস্য এই যে বল্লাল যখন কায়স্থগণকে আপনার ন্যায় জাতি চু্যত করাইবার মানসে তাহাদিগকে সূত্ৰত্যাগ, দাস শব্দ প্রভূতি ব্যবহার করিবার জন্য আদেশ প্ৰদান করিয়া তাহাদিগকে আচার ভ্ৰষ্ট করাইলেন, তখন কুলীন আখ্য। প্ৰদান করিয়া তাহাদিগকে আচার সম্পন্ন, আচারযুক্ত, আচারী বলিয়া জন-সমাজে মুখে প্রকাশ করিলে কি কুলীন আখ্যা প্ৰাপ্ত কায়স্থগণ সত্য সত্যই ধৰ্ম্মানুযায়ী আচার রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, অথবা মনে মনে তাহারা আপনাদিগকে শুদ্ধাচারী বলিয়া জ্ঞান করিতে পারিয়াছিলেন ? ঐ সকল কায়স্থ মহোদয়গণের এবং বিশেষত সমগ্ৰ ভারতবর্ষের কায়স্থ জাতির, অবনতি সম্বন্ধে " ব্যবহারিকবর শ্ৰীযুক্ত শ্যামাচরণ সরকার মহাশয় তাহার ব্যবস্থা দৰ্পণ গ্রন্থে স্পষ্টই বলিয়াছেন যে “There is therefore a preponderance of authori ty to evince that the Kayasthas, whether of Bengal or of any other country, were Kshatriyas. But