পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& Ο θ ইহাতে দেখা যায় যে ক্ষত্র শব্দের অর্থ “শরীর”, যাহার আর একটী নাম ‘কায়’, এবং ইয়। শব্দের অর্থ স্থিতি বাচক, ‘স্থিতা” অথবা ‘স্থ”। সুতরাং ক্ষত্ৰিয় শব্দের অর্থ কায়স্থ। • উভয় শব্দ একাৰ্থ বোধক । পুনরায় ক = ব্ৰহ্মা, আয় = বাহু, স্থ= স্থিত এবং ক্ষত্ৰিয়গণ শাস্ত্ৰে দেখা যায় যে ব্ৰহ্মার বাহু হইতে জাত । ক্ষত্ৰিয় শব্দের অর্থ করিলে দেখিতে পাওয়া যায় ক্ষত্র = কায়, ইয়।= স্থিতি অর্থাৎ ক্ষত্ৰিয় = কায়স্থ। বস্তুত একটু স্থির চিত্তে গবেষণা করিলে ইহা দৃষ্ট হয় যে ক্ষত্ৰিয় শব্দ অপভ্রংশে ব্যবহৃত হইয়া ক্ষৈত্র, ক্ষৈপ্ত, কৈস্থ, কায়স্থ রূপ দাড়াইয়াছে। এবং কায়স্থ শব্দও কায়িত্ৰ, ক্ষায়ত্ৰ, ক্ষৈত্র, ক্ষত্ৰিয় হইয়াছে। এইরূপ পরস্পরের সৌসাদৃশ্য পরস্পরে প্রতিভাত হইয়া একটি শব্দ দুইটী রূপে আমরা পাইতেছি। লেখক ও যুদ্ধবিন্দ দুই ভ্ৰাতা এক শ্রেণীর হইলেও লেখকের ব্ৰাহ্মণাচার বশতঃ লেখককে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রূপে ক্ষত্ৰিয়গণ সদা সর্বদা দেখিতেন । যখন মহামায়ার প্রতিমা পুজা প্ৰচলন হইল তখন ঐ দুই ভ্ৰাতা পুত্ৰ স্বরূপ গণেশ ও কাৰ্ত্তিক রূপে মহামায়ার দক্ষিণ ও বাম হস্ত হইয়া প্ৰতিমা মধ্যে স্থান পাইলেন। গণেশ কায়স্ত, কাৰ্ত্তিক ক্ষত্ৰিয় । সরস্বতী গণেশের সহায় ও লক্ষ্মী কাৰ্ত্তিকের সহায় রূপে বৰ্ত্তমান । ক্রমে কায়স্থাদিগের প্রতিপত্তি এতদূর বুদ্ধি পাইয়াছিল যে ব্ৰহ্মক্ষত্ৰিয়গণ আপনাদিগকে ব্ৰহ্মকায়স্থ বাচো পরিচয় দিতে সম্মানিত মনে করিতেন। কারণ র্তাহারা বাহু অর্থাৎ ভুজ বলে বলীয়ান হইয়াও ব্ৰহ্মার। সৰ্ব্বকায় হইতে উৎপন্ন ধী সম্পন্ন বুদ্ধিমান ব্ৰহ্মকায়স্থ জাতির পরিচয়ে গৌরবান্বিত মনে করিয়া ঐ পরিচয় কামনা করিতেন। পৌরাণিক কালে ক্ষত্ৰিয়গণ কায়স্থ নামে