পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা “যাবস্মেরে স্থিত দেবাঃ, যাবাদ গঙ্গা মহীতলে । চন্দ্ৰার্কেী গগনে যাবৎ, তাবৎ কায়স্থজ ব্যয়ম ৷” অধুনা কলিকাতা মহানগরীতে কায়স্থ সভা সংস্থাপনের পর বঙ্গদেশে চকিতের ন্যায় জাতি সম্বন্ধে হঠাৎ একটি নবেহার অভু্যদয় হওয়ায় বঙ্গদেশীয় কায়স্থ জাতিকে স্বধৰ্ম্মে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করাইবার জন্য এই ক্ষুদ্র পুস্তকটী রচিত হইল। বঙ্গদেশীয় কায়স্থ জাতির অবনতির কাল বল্লালের সময় হইতে দেখিতে পাওয়া যায়। সেই সময় হইতে প্ৰায় নুনাধিক অষ্টাদশ পুরুষ হীন অবস্থায় কাল যাপন করায় বঙ্গদেশের কায়স্তাগণ স্ব স্ব পদ। মৰ্য্যাদা ও সম্মান একেবারে ভুলিয়া গিয়াছেন। ইতিহাস পাঠে সকলেই অবগত আছেন যে অনিবাৰ্য হেতুভূত কালের প্রবাহে উন্নতি ও অবনতি পুনঃ পুনঃ ঘটিয়া থাকে। সেই উন্নতি ও অবনতি সামাজিক ব্যাপারেও অনাদিকাল হইতে ঘটিয়া সিতেছে। প্ৰধান প্ৰধান জাতি সকল সমাজের অত্যন্ত উন্নত অবস্থা ও পরে অবনতির চর্মসীমা প্রাপ্ত হইয়া পুনরায় উন্নত অবস্থা প্ৰাপ্ত হইতে সমর্থ হইয়াছেন । কায়স্থ মহোদয়গণ যদিও প্ৰায় সাত আটশত বৎসর ধরিয়া বঙ্গদেশে কথঞ্চিৎ শূদ্রাচারে দিনাতিপাত করিতেছেন, তুর্থাপি তঁহাদিগের দ্বিজাচারে প্রত্যাবৰ্ত্তন ও লুপ্ত গৌরবের পুনরাবিস্কৃতি কি সম্পূর্ণ আশাতীত ? অবশ্য নহে। তাহারা স্বধৰ্ম্মে প্রতিষ্ঠিত হইবার জন্য মাননীয়,