পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৬২ ] কাল উচ্চবর্ণে স্বল্প দিবস বিধি আছে, এবং কায়স্থ জাতি যখন উচ্চবর্ণ তখন প্ৰত্যেক উপবীতি কায়স্থ দ্বিজাচার বশতঃ ধৰ্ম্ম রক্ষা হেতু অতি অবশ্য দ্বাদশ দিবস মাত্র অশৌচ গ্ৰহণ করিবেন । এই স্থলে আর একটী কথার উল্লেখ প্রয়োজন মনে করি। দশ বর্ষ অন্তর ভারতে লোক গণনা করা হয়। সেন্সস বিবরণ যখন গভর্ণমেণ্ট প্রকাশ করেন তখন সমাজে কোন জাতি কোন স্থান প্ৰাপ্তির যোগ্য বিচার করা হয়। পুর্ব পূৰ্ব সেন্সাস রিপোটে দেখিতে পাওয়া যায় যে বঙ্গদেশে কায়স্থগণ ব্ৰাহ্মণদিগের ঠিক নিম্ন স্থান অধিকার করিয়া আসিতেছিলেন, এবং কায়স্থগণকে ক্ষত্ৰিয় বলিয়া স্বীকার করা হইয়াছিল । বিভার্লি সাহেব অতি বিচক্ষণ পণ্ডিত ছিলেন এবং সমাজের প্রকৃত অবস্থা সাধারণ বঙ্গবাসীর নিকট তথ্য করিয়া কায়স্থ জাতির সম্মান বজায় রাখিয়াছিলেন । বাডিলো সাহেব ও বিভালি সাহেবের সাহিত ঐক্য মত প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। কিন্তু বিগত সেন্সস রিপোটে গভৰ্ণমেণ্ট বুঝিলেন যে যখন বৈদ্যগণের যজ্ঞসুত্ৰ হইয়াছে এবং তঁহারা বৈশ্যাচারে ১৫ দিবস। অশৌচ গ্ৰহণ করিয়া দ্বিজ বলিয়া পরিগণিত তখন কায়স্থগণের যজ্ঞসুত্ৰ বিবর্জিন হেতু শূদ্ৰ বলিয়া পরিচয় থাকায় কায়স্থগণের স্থান দ্বিতীয় শ্রেণীর নিম্নভাগে । বাহ্যিক ব্যবহারে সমাজ অপরের চক্ষে ও গঠিত হয় । সেই কারণ বশতঃ বঙ্গীয় কায়স্থগণের ক্ষত্ৰিয়াচারে অবস্থানের যোগ্যতা সত্বে ও বৈশ্যাচাব যুক্ত ব্যক্তিগণের নিম্ন স্থান অধিকার অন্যের চক্ষে দুষ্ট হইল। যজ্ঞসুত্র পরিধান ও দ্বাদশ দিবস। অশৌচ বিধি বঙ্গীয় কায়স্থগণ, পালন করিলে ঐ রূপ একটা খটকা উদয় করাইয়া সমাজে