পাতা:ব্রহ্মকায়স্থ - ললিতাপ্রসাদ দত্তবর্মা.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 سوان ] f সময়ে কেহ কেহ ভাবিলেন যে রঘুনন্দন বড়ই বুদ্ধিমান। गंढ রঘুনন্দন হঠাৎ তাহার উচ্চাসন হইতে ভূতলে নিপতিত হইলেন। তঁহার ফাকি লোকে ধরিয়া ফেলিল। তিনি বলিলেন পৌণ্ড দেশে যে বৈশ্য ক্ষত্ৰিয় ব্ৰাহ্মণ আসিবেন সকলেই মনুর মতে বৃষল হইবেন । তাহা হইলে রঘুনন্দন যান কোথায় ? রঘুনন্দনেরই বা কিরূপে ব্ৰাহ্মণত্ব থাকে ? এবং কেনই বা তিনি বৃথা, ধৰ্ম্ম শাস্ত্ৰ লিখিতে বসেন ? ইতো ভ্ৰষ্টস্ততো নষ্টঃ । রঘুনন্দনের প্রশ্বর বুদ্ধির প্রভাব স্থির ভাবে দেখিলে শিক্ষিত ব্যক্তি মাত্ৰকেই স্তম্ভিত হইতে হইলে । তঁহার লিখিত ব্যবস্থা অভূতপূৰ্ব্ব । ধারণীকোষ তাঙ্গাব পক্ষে মত প্রামাণ্য গ্ৰন্থ। চক্ষুদুটি নিমিলিত করিয়া অন্য শাস্ত্ৰ গ্ৰস্তু দেখিতে না পাইয়া পাণ্ডিত্য প্ৰকাশ পূৰ্ণক তিনি ধরুণী কোষ হইতে কায়স্থগণকে সচক্ষুদ্র প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিলেন । সাধাবণ্যত দেখিতে পাওয়া যায় যে মহৎ ব্যক্তিগণ সমস্ত বস্তুর উসুল ভাগ গ্ৰহণ করিয়া অন্ধকার অংশ পবিত্যাগ কবেন । রঘুনন্দন সে শ্রেণীর লোক ছিলেন না । কোথায় কোন ব৷” যুক্ত কাঙ্গি কে গালি দিয়াছে অথবা তাহার অপযশ কীৰ্ত্তন কৰি’’ শুছে তৎসম্বন্ধে ব্যস্ত হইয়া আপনার লঘুতা প্রকাশ করাই কি মন্ত৭jীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ? ঐ রূপ উদ্দেশ্য জীবনের মুখ্যা কৰ্ম্ম জ্ঞান করিয়া কোথায় একখানি ধারণীকোষ গ্রন্থে কি লেখা আছে তাহাই মহাপ্ৰমাণ স্থির করিয়া রঘুনন্দন উদ্ধত করিলেন যে - - ر সচছুদ্রশচমসৗশদেবঃ কায়স্থশচী শ্ৰীবৎ সজঃ } অম্বষ্ঠো মাথুরী ভট্ট সূৰ্য্যধ্বজশ্চ গৌড়কাঃ ॥