পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

উপক্রমণিকা।


 পরমেশ্বর আমাদের জ্ঞানের সমুদায় কার্য্য কেবল আমারদের বুদ্ধির হস্তে সমর্পণ করিয়া রাখেন নাই। তিনি যদি আমারদিগকে ক্ষুধা-তৃষ্ণা না দিতেন, আর আমারদের বুদ্ধি ও বিবেচনা করিয়া শরীর পোষণ করিতে হইত, তাহা হইলে আমারদের যেরূপ দুর্দশা হইত; সেই রূপ প্রত্যেক জ্ঞান-ক্রিয়া যদি কেবল আমারদের বুদ্ধির হস্তে থাকিত, তাহা হইলেও আমরা পদে পদে দুর্দ্দশা-গ্রস্ত হইতাম। যদি যুক্তি ও তর্ক এবং বুদ্ধি ও শাস্ত্রের সাহায্য ব্যতিরেকে ঈশ্বরকে জানা না যাইত—যদি সমুদায় দর্শন শাস্ত্র উদঘাটন করিয়া না দেখিলে আমাদের ধর্ম্মজ্ঞান জন্মিত; তবে পৃথিবীর অধিকাংশ লোকেই ধর্ম্ম ও ঈশ্বর হইতে বিচতি থাকিত। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে; আমারদের প্রত্যক্ষ জ্ঞান যে রূপ সহজে হয়, সেই প্রকার সহজ জ্ঞান অন্যান্য বিষয়েরও হইয়া থাকে। এই প্রকার সহজ জ্ঞান আমার ও তোমারও নহে, কিন্তু ইহা সকল মনুষ্যেরই সাধারণ সম্পত্তি।

 আমরা দুই শ্রেণীর লোক সচরাচর দেখিতে পাই। কতকগুলি লোকের অতি তীক্ষ-বুদ্ধি; তাহারা তীক্ষতা