পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরমেশ্বর আনন্দ স্বরূপ।
২৩

সমর্থ হই না। যাহাদের ধর্ম্ম সরল আছে, ঈশ্বরম্পৃহা প্রবল আছে এবং আত্মা প্রকৃতিস্থ আছে, তাহারাও যখন মধ্যে মধ্যে ঈশ্বরের পথ হইতে স্খলিতপদ হয়; তথন তাহাদের কি দুর্দ্দশা, যাহারা স্বীয় কুপ্রবৃত্তির হস্তে আপনাকে অর্পণ করিয়া সংসার অরণ্যে বিচরণ করিতেছে। তাহাদের চিত্তভুজঙ্গ নিরন্তর কুটিলগামী হইয়া আপনার ও জন-সমাজের কত অনর্থই উৎপাদন করিতে থাকে।

 ধর্ম্ম-রত্ন লাভ করিবার আন্তরিক ইচ্ছা চাই। আন্তরিক ইচ্ছা থাকিলে দুর্ব্বলতার অনেক পরিহার হয়। আমাদের অসৎ ইচ্ছা এক, আর দুর্ব্বলতা এক, দুই পৃথক্ বিষয়। যাহাদের সাধু ইচ্ছা, সাধু ব্যবহার, তাহাদের দুর্ব্বলতা জনিত পতন এক প্রকার; আর যাহাদের লোক রক্ষাই সর্ব্বস্ব এবং কপট ব্যবহারই পৃথিবীতে চলিবার উপায়, তাহাদের পাপ-প্রকাশ-জনিত পতন অন্য প্রকার। সাধু ব্যক্তি এক বার পতিত হইলে ঈশ্বরের প্রসাদে আবার উদ্ধার হইয়া আত্ম-প্রসাদ লাভ করেন। তাঁহার পাপজনিত অনুশোচনা এবং অনুশোচনা-জনিত ঈশ্বরের প্রকাশ, এই উভয় প্রকারেই তিনি পাপ হইতে মুক্ত হয়েন। পাপ হইতে মুক্ত হইলে ঈশ্বরের সহিত সহবাসের প্রার্থনা জন্মে, সেই প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে আত্মস্পৃহা সমধিক উজ্জ্বল হয় এবং তৎপরে ঈশ্বর স্বীয় সন্তাপহারিণী মূর্ত্তি প্রকাশ করিয়া সকল সন্তাপ হরণ করেন। ঈশ্বরম্পৃহা সঞ্চারের পূর্ব্বে এই উপদেশ; পাপের সহিত যেন সংস্পর্শ না হয়। ঈশ্বর-স্পৃহার উদ্দীপন হইলে এই উপদেশ; পা পর