পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৶৹

তাহা মনুষ্যের সাধারণ সম্পত্তি। বাহিরের বস্তু-সকল আমরা যেমন সাক্ষাৎ দেখি, অতীন্দ্রিয় উচ্চতর বিষয়েরও আমাদের সেই রূপ সাক্ষাৎ জ্ঞান লাভ হইতে পারে। বিষয়-জ্ঞান আমারদের দুই প্রকারে উপলব্ধি হইতে পারে। হয়, আমরা কোন বস্তু চক্ষে দেখি; নয়, তাহা কোন গ্রন্থ মধ্যে বা অন্যের নিকট হইতে শিক্ষা করি। আমি যদি স্বচক্ষে এই বৃক্ষের শোভা দেখিয়া আমোদিত হই, তবে এই স্থলে আমার প্রত্যক্ষ জ্ঞান হইল। কিন্তু আমি দেখি নাই, এমন এক বৃক্ষের বিষয় যদি কেহ আমার নিকটে বর্ণন করে; তবে এ স্থলে আমার জ্ঞান সাক্ষাৎ জ্ঞান নহে তাহা পরোক্ষ জ্ঞান। আমি তাহা জানিলাম বটে; কিন্তু সে জানা সাক্ষাৎ দেখার সঙ্গে এত প্রভেদ যে তাহাতে সংশয় জন্মিলে তাহা ভঞ্জন করিবার জন্য প্রত্যক্ষ জ্ঞান আবশ্যক।

 আমরা জগতের প্রতি দৃষ্টি করিলে যে কেবল জড়ীয় গুণ সকল উপলব্ধি করি, তাহা নহে। শিশুর মন, যখন সে কথা কহিতেও শিক্ষা করে নাই, তখন তাহাকে নানা প্রকার ভাবে আকৃষ্ট হইতে দেখা যায়। প্রথমে সে যে কেবল আকৃতি, বিস্তৃতি, বর্ণ, এই সকল দেখিতে পায়, তাহা নহে; কিন্তু নূতন নূতন বস্তুর শোভা দেখিয়াও আশ্চর্য ও আমোদিত হইতে থাকে। বিশ্বরাজ্য, শ্রী ও সৌন্দর্য্যে এ প্রকার বিভূষিত যে তাহাতে আমারদের দৃষ্টি পড়িবামাত্র আমারদের মন সৌন্দর্য্য রসে আর্দ্র হয়। সুন্দর বস্তু দেখিবা মাত্র আমরা সহজ জ্ঞানে তাহার সৌ-