পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিষয়-সুখ এবং ব্রহ্মানন্দ।
৩৯

ষষ্ঠ উপদেশ।


বিষয়-সুখ এবং ব্রহ্মানন্দ।

 সেই ভূমাতেই আমাদের সুখ, অল্প বিষয়ে সুখ নাই। বিষয়-মুখে আমাদের আত্মা তৃপ্ত হয় না। বিষয়সুখ সকলই ক্ষণ-ভঙ্গুর, অতীব ক্ষুদ্র—কখনো বা ধর্ম্মের অনুকূল, কখনো বা প্রতিকূল; কখনো বা সেব্য, কখনো ত্যাজ্য। সেই ভূমা ঈশ্বরই আমাদের তৃপ্তির স্থল, আমাদের শান্তি-নিকেতন। ব্রহ্মানন্দই আমাদের ইহকাল ও পরকালের অবিনশ্বর সম্বল। বিষয়-সুখের তুলনায় ব্রহ্মানন্দ কালেতে অনন্ত এবং ভারেতেও অপরিমেয়। ব্রহ্মানন্দ যেমন স্থায়ী, তেমনি গভীর। মনুষ্যের আত্ম অতি মহৎ; ক্ষুদ্র পদার্থে নিরন্তর লিপ্ত থাকিয়া সে সুস্থ থাকিতে পারে না। যে সকল ব্যক্তি সৌভাগ্যের অজস্র দান উপভোগ করিতেছে; বিপুল মন, অতুল ঐশ্বর্য্য, মহোচ্চ পদ, অটল প্রভুত্ব ভোগেই এজীবনকে ব্যয় করিতেছে; তাহাদের তৃপ্তি-সুখ কখনই নাই; এই প্রকার অতৃপ্তিই সেই ভুমার প্রতি আমাদের আত্মার প্রধান আকর্ষণ। বিষয় শৃঙ্খলে বদ্ধ না থাকিয়া বিষয়ের অতীত পদার্থকে অন্বেষণ করি; ইহাই আমাদের উৎকৃষ্ট আধিকার। ধর্মের আদেশে বিষয় স্রোতের প্রতিকূলে ইচ্ছাকে নিয়োগ করিতে পারি, এই আমাদের আশ্চর্য্য শক্তি। যাঁহার আত্মা ধর্ম্ম-বলে