পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৷৴৹

কিন্তু এ সকলকে সার বোধ হয়—ঈশ্বর, পরকাল, এ সক।লের প্রতি বাহ্য বস্তুর ন্যায় আর কোন সংশয় থাকে না। কিন্তু আমি যদি কেবল ধর্ম্ম-শাস্ত্র হইতে ধর্ম্ম শিক্ষা করি— যদিও ঈশ্বর, পরকাল; পাপ পুণ্য; উপকার, অনিট; এই সকল শব্দ আমার মুখগ্রে থাকে; তথাপি হয় তো সে শিক্ষা কেবল মুখেই থাকে—সে ধর্ম্ম-জ্ঞান জীব-শূন্য নিষ্ফল হইয়া থাকে। যে পর্য্যন্ত না সেই শিক্ষিত বিষয়-সকল আমার জ্ঞাননেত্রের সন্মুখে আইসে—যে পর্য্যন্ত না আমি স্বয়ং পরীক্ষা করিয়া সেই সকল বিষয় দেখিতে পাই, সে পর্য্যন্ত সে শিক্ষা কোন কার্য্যেরই নহে। এই হেতু এক সামান্য কৃষকের মুখ হইতে যে সকল ধর্ম্ম-নীতি বহির্গত হয়, তাহাতে এক মহা অধ্যাপকেরও প্রকৃষ্ট রূপে শিক্ষা হইতে পারে। এ স্থলে পণ্ডিত আর মুখ উভয়েরই সমান অধিকার। ঈশ্বরকেও আমরা জ্ঞান-নেত্রে প্রত্যক্ষ, উপলব্ধি করি। আমরা যদি কেরল যুক্তির সোপান দিয়া ঈশ্বরে যাই, তবে আমরা শূন্য ঈশ্বর মাত্র পাই। কেবল বুদ্ধির অলোক এ স্থলে অন্ধকার তুল্য। ঈশ্বরের অস্তিত্ব যতক্ষণ না আমরা তর্ক দ্বারা সিদ্ধান্ত করিতে পারি, ততক্ষণ যে আমরা ঈশ্বরকে জানিতে পারি না; এ কোন কায্যেরই কথা নহে। জগৎ, আমি, ঈশ্বর, এ তিনেরই সত্তা আমাদের আত্ম-প্রত্যয়-সিদ্ধ; তাহা সিদ্ধান্ত সাপেক্ষ নহে, এবং সে সকলকে যুক্তি দ্বারা সংস্থাপন করিতেও পারা ঘায় না। আমরা কি জগতের অস্তিত্ব তর্ক দ্বারা সিদ্ধান্ত করিয়া পরে তাহা প্রত্যয় করি? যদিও সহস্র