পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মুক্তি
৮৩

বিন্দু ক্রমে সাগর হইয়া উঠিবে। আমরা যখন সেই অনন্ত প্রেমসাগরে নিমগ্ন হইব, তখন আমাদের হৃদয়ে শোক মোহ; বিলাপ ক্রন্দন; পাপ তাপ আর কিছুই থাকিরে না; কেবল যোগানন্দের উৎস, প্রেমানন্দের উৎস, ব্রহ্মানন্দের উৎস, নিরন্তর উৎসারিত হইতে থাকিবে।


দশম উপদেশ।

মুক্তি।

মুক্তি? ইহার সহজ উত্তর এই, পাপ হইতে মুক্ত হওয়া, এই উত্তরে মুক্তির সমুদয় ভাব প্রকাশ পায় না। ইহা অভাব পক্ষে মুক্তির লক্ষণ বলা হইল। মুক্তির অবস্থা কেবল অভাবের অবস্থা নহে; পাপের অভাবই যে মুক্তি, তাহা নহে। পশুদিগের অবস্থা এবং শিশুদের নিষ্পাপাবস্থা মুক্তির অবস্থা নহে। যে মনে জ্ঞান প্রীতি এবং কর্ত্তৃত্ব প্রকাশ পাইয়াছে; যে মন আপন বলে সত্যের আশ্রয়ে বিষয়াসক্তি হইতে মুক্ত হইয়াছে; সেই মুক্ত। তখনই মুক্তাবস্থা, যখন ধর্ম্মের বল, পবিত্রতার বল, বিষয়ের প্রতিকূলে, প্রবৃত্তির প্রতিকূলে, লোকের প্রতিকূলে চালিত হয়, যখন জ্ঞান প্রীতি ও ইচ্ছা মুক্ত ভাবে কার্য্য করিতে থাকে। তিনি মুক্ত, যিনি ঈশ্বরের বিশ্বাসে উন্নত হইয়া যুধর্ম্মদ্ধে আসুরিক বৃত্তি-সকলকে দমন করেন এবং নীচ