পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২৪
ভগ্নহৃদয়।

এখনো সুবাস তার যায় নি মরিয়া!
মুরলা।—দেখি সখা, একবার দেখি হাত খানি, 
এ হাত কাহারে কবি করিবে অৰ্পণ?
কত ভাল তোমারে সে বাসিবে না জানি।
না জানি, তোমারে কত করিবে যতন!
কিসে তুমি রবে সুখী সকলি সে জানিবে কি?
দেখিবে কি প্রতি ক্ষুদ্র অভাব তোমার?
তোমার ও মুখ দেখি, অমনি সে বুঝিবে কি
কখন পোড়েছে হৃদে একটু আঁধার!
অমনি কি কাছে গিয়ে কতনা সান্তনা দিয়ে
দূর করি দিবে সব বিষাদ তোমার?
তাই যেন হয় কবি আর কিবা চাই।
তা হোলেই সুখী হব রহি না যেথাই।
কবি।-মুরলা, সখিলাে, 
কেন আজ মন মোর উঠিছে কাঁদিয়া?
বিষাদ ভুজঙ্গ সম কেন রে হৃদয় মম
দলিতেছে, চারিদিকে বাঁধিয়া বাঁধিয়া?
ছেলেবেলা হোতে যেন কিছুই হোলনা,
যত দিন বেঁচে রব’ কিছুই হবে না,
এমনি কোরেই যেন কাটিবেক দিন,
কাঁদিয়া বেড়াতে হবে সুখ শান্তি হীন!
কেহ যেন নাই মোর, রবেনাকো কেহ,
ধরায় নাইক যেন বিশ্রামের গেহ।
কিছু হারাইনি তবু খুঁজিয়া বেড়াই,