হোয়েছে কেমন যেন অশান্তি-আলয়।
চরাচর-ব্যাপী এই ব্যোম-পারাবার
সহসা হারায় যদি আলোক তাহার,
আলোকের পিপাসায় আকুল হইয়া
কি দারুণ বিশৃঙ্খল হয় তা’র হিয়া!
তেমনি বিপ্লব ঘোর হৃদয় ভিতরে
হ’তেছে দিবস নিশা, জানিনা কি তরে!
নব-জাত উল্কা-নেত্র মহাপক্ষ গরুড় যেমন
বসিতে না পায় ঠাঁই চরাচর করিয়া ভ্রমণ,
উচ্চতম মহীরুহ পদভরে ভূমিতলে লুটে,
ভূধরের শিলাময় ভিত্তিমূল বিদারিয়া উঠে,
অবশেষে শূন্যে শূন্যে দিবারাত্রি ভ্রমিয়া বেড়ায়,
চন্দ্র সুর্য্য গ্রহ তারা ঢাকি ঘোর পাখার ছায়ায়;
তেমনি এ ক্লান্ত-হৃদি বিশ্রামের নাহি পায় ঠাঁই,
সমস্ত ধরায় তা’র বসিবার স্থান যেন নাই;
তাই এই মহারণ্যে অমারাত্রে আসিগো একাকী,
মহান্-ভাবের ভারে দুরন্ত এ ভাবনারে
কিছুক্ষণ তরে তবু দমন করিয়া যেন রাখি।
চন্দ্রশূন্য আঁধারের নিস্তরঙ্গ সমুদ্র মাঝারে
সমস্ত জগৎ যবে মগ্ন হ’য়ে গেছে একেবারে,
অসহায় ধরা এক মহামন্ত্রে হোয়ে অচেতন
নিশীথের পদতলে করিয়াছে আত্ম-সমৰ্পণ,
তখন অধীর হৃদি অভিভূত হোয়ে যেন পড়ে,