পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৮
ভগ্নহৃদয়।

শূন্য—শূন্য—শূন্য সব বাতায়ন অন্ধকার,
ফুলময় বাহু দিয়া আঁধারকে বুকে নিয়া,
আঁধারকে আলিঙ্গিয়া রোয়েছে সে লতাগুলি,
তবু ফিরি ফিরি সেথা আসিলাম ভূলি ভূলি!
তেমনি সকলি আছে, বাতায়ন ফুলে সাজি,
দুলিছে তেমনি করি বাতাসে কুসুম-রাজি;
শুধু এ মনে আমার, এক কথা বার বার
এক সুরে মাঝে মাঝে উঠিতেছে বাজি বাজি—
“প্রতিদিন দেখি তারে কেননা দেখিনু আজি?”
“কেননা দেখিনু তারে কেননা দেখিনু আজি?”
অতিধীর পদক্ষেপে আলয়ে আসিনু ফিরি,
শতবার আন-মনে বলিলাম ধীরি ধীরি—
“প্রতিদিন দেখি তারে কেননা দেখিনু আজি?”


(চতুর্থ গান।)

কাল যবে দেখা হোল পথে যেতে যেতে চলি
মোরে হেরে আঁখি তার কেনগো পড়িল ঢলি?
অজানা পথিকে হেরি এত কি সরম হবে?
কি যেন গো কথা আছে, আটকিয়া রহিয়াছে,
আধ-মুদা দুটি আঁখি কি যেন রেখেছে ঢাকি,
খুলিলে আঁখির পাতা প্রকাশ তা হয় পাছে!
সরম না হয় যদি, এ ভাব কিসের তবে?
কাল তাই বোসে বোসে ভাবিয়াছি সারাক্ষণ,