বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So S ভবিষ্যতের বাঙালী তবে প্রশ্ন এই, কবে সেই ভাগ্য-নিদিষ্ট রাজকুমার আসবেন ? তার আবির্ভাবের লক্ষণ কি দেখে বোঝা যাবে ? বিখ্যাত আরব নৃ-তাত্ত্বিক ইবনে খালদুন বলেছেন, আরব জাতির মধ্যে তখনই ব্যাপক প্ৰাণের স্পন্দন দেখা দিয়েছে, যখন কোন মহাপুরুষ তাদের মধ্যে অভিনব কোন ধৰ্ম্ম-মতবাদের "প্ৰবৰ্ত্তন করেছেন । ধৰ্ম্মকে যদি ব্যাপক অর্থে নেওয়া যায়, অর্থাৎ ধৰ্ম্ম বলতে যদি আমরা বুঝি সেই আদর্শ, যার অনুসরণ এবং প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ তার সব কিছু এমন কি তার প্রাণ পৰ্য্যস্ত বিসর্জন দেওয়াকে পরম কল্যাণের নির্দেশ বলে মনে করে, তা’হ’লে ইবনে খালদুনের উক্তি কেবল আরব জাতির, সম্বন্ধে কেন, বিশ্বের সব জাতির সম্বন্ধেই প্ৰযুজ্য। জাতি-তখনই সত্যকার জেগে উঠে, যখন তার মধ্যে উন্মাদনাময় একটী -প্রেরণা, জীবস্তু-জ্বলন্তু একটা আদর্শ এসে দেখা দেয়- মানুষ তখন সেই সুমহান আদর্শের প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্র প্রেমােন্মাদ হ’য়ে উঠে; আত্ম-নিবেদন এবং বিসর্জনেও কুণ্ঠা জাগে না। অনন্তকাল সাধনায়ও ব্লে বিমুখ হয় না । এ অনেকটা সাগর-সঙ্গম-পিয়াসী স্বতোৎসারিত গিরিনিঝরিণীর বহু বিচিত্র বন্ধুর পথে আনন্দাভিসারের মত। সে আদেশের স্বরূপ কি ? মানুষের মনকে এমন গভীর ভাবে আলোড়িত করতে হ’লে তার মধ্যে কি কি বিশেষত্ব থাকা চাই ? ইতিহাসের আলোচনা করলে দেখতে পাওয়া যায়, প্ৰত্যেক অন্তরস্পর্শী আদশের পেছনেই একটা ক্ৰন্দন, একটা হাহাকার আছে। সেই ক্ৰন্দন, সেই হাহাকারই হ’ল সেই আদর্শের দ্যোতক । আদশের কাজ হ’ল সেই ক্ৰন্দনকে থামান, সেই হাহাকারকে বিদূরিত করা। কেবল তাই নয়, সে আদর্শ আসে ব্যথার ক্ৰন্দনের স্থানে আনন্দের হাসি ফুটাতে, দুঃখের হাহাকারের স্থানে সুখের তরঙ্গায়িত কাকলীর