ভবিষ্যতের বাঙালী ܢ ܘ ܬ সৃষ্টি করতে । প্ৰথম দেখা দেয় বঞ্চিতের ক্ৰন্দন, তারপর দেখা দেয়। স্বার্থকতার আনন্দ-কলরব । শিশু ক্ষুধার তাড়নায় মায়ের দুগ্ধের জন্য কঁাদে, চিৎকার করে । মা তাকে দুধ দেন। মাতৃস্তন্যপানে আনন্দে আবার সে উৎফুল্ল হ’য়ে হাসে । এও অনেকটা সেই রকম। তবে একথা মনে রাখা দরকার, শিশু যখন দুধের জন্য কঁাদে তখন জল দিলে চলবে না, দুধই তাকে দিতে হ’বে। যে জিনিষের অভাবে একটা দেশে কিম্বা সমাজে হাহাকার উঠেছে, সেই জিনিষ দয়েই তার অভাব পূরণ করতে হ’বে, অন্য কিছু দিলে চলবে না । সুতরাং কিসের অভাব এদেশে অনুভূত হ’চ্ছে, সেইটেই প্রথম দেখা দরকার । তারপর দেখা দরকার, কি দিয়ে সেই অভাব পরিণ করা যেতে পাৱে । द6धान डाबडत उथ! दाश्लाद्र প্রধান অভাব হ'চ্ছে (১) গ্র্যাপকতর জীবনের, (২) অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার, আর (৩) রাষ্ট্ৰীয় জীবনের গভীর গৃঢ় আন্তরিক ভিত্তির। এমন এক যুগ ছিল, যখন রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা রাজা-বাদশাদের মধ্যে, আমীর-ওমরাহদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল । জনসাধারণ রাষ্ট্রের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট হ’ত না, হ’তে চাইতে না । এখন সে যুগ আর নাই। এখন সব শ্রেণীর লোকই রাষ্ট্রের ব্যাপারে সচেতন, সকলেই প্লাষ্ট্ৰীয় সমস্যার সমাধানে অংশ নিতে চায় । বৰ্ত্তমান রাষ্ট্ৰীয় সমস্যার সমাধানে একথা আমাদের ভুললে চলবে না । অতীত যুগে অর্থনৈতিক জীবন একটা সংকীর্ণ অথচ সুনির্দিষ্ট । ধারায় প্রবাহিত হ’ত । কামারের ছেলে কামার হ’ত, কুমোরের ছেলে কুমোর হ’ত, দজির ছেলে দৰ্জি হ’ত, চাষার ছেলে চাষ হ’ত, পণ্ডিতের ছেলে পণ্ডিত হ’ত, যোদ্ধার ছেলে যোদ্ধা হ’ত, আমীরের ছেলে আমীর
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১০৫
অবয়ব