পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy o (፩ ভবিষ্যতের বাঙালী, বন্ধন বাঞ্চনীয় হ’লেও, অপরিহার্য্য নয়। বিভিন্ন শ্রেণীর হিন্দুর মধ্যে এমন কি বস্তু আছে, যা’ এই আত্মীয়তাবোধ জাগিয়ে রেখেছে ? আর বিভিন্ন শ্রেণীর মুসলমানের মধ্যেই বা কোন বস্তুটি এই আত্মীয়তাবোধ জাগিয়ে রেখেছে ? বলা বাহুল্য, আদর্শের ঐক্যই এ কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। যে আদর্শবোধ এই দুই সম্প্রদায়ের নিজ নিজ ব্যষ্টি ও সমষ্টির মধ্যে ঐক্য এবং আত্মীয়তাবোধ জাগিয়ে রেখেছে, সে হ’চ্ছে ধৰ্ম্মের আদর্শ। এখন আমরা চাই ব্যাপকতর, দৃঢ়তর অথচ উন্নতিশীলতার পরিপোষক যুগোপযোগী এক আদর্শ, যার সাহায্যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন শ্রেণীর এবং জাতির লোকেরা নিজেদের পরস্পরের আত্মীয় বলে মনে করতে পারে । সে কাজ একমাত্র জাতীয়তার আদর্শ ই সুসম্পন্ন করতে পারৈ। এ আদর্শ যে বিভিন্ন জাতির এবং সম্প্রদায়ের লোককে এক ক’রে দিয়েছে, তার দৃষ্টান্ত রাশিয়া, চীন, জাপান, কেনেডা, সাউথ আফ্রিকা প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায় । এই একীকরণের ব্যাপারে। পূৰ্ম্মমূলক আদর্শ জাতীয়তার আদর্শের কাছে হার মেনেছে বলেই পৃথিবীর সর্বত্ৰ এখন ধৰ্ম্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠিত হ’চ্ছে ; ধৰ্ম্মাদর্শের প্রধান দুর্বলতা এই যে, তার স্বাভাবিক গতি হ’চ্ছে বিভক্তির দিকে, বিচ্ছেদের দিকে । পৃথিবীর, বিভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ইতিহাস পড়লেই দেখতে পাওয়া যায়, অতি অল্পকালের মধ্যে কোন বিশেষ ধৰ্ম্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায় এসে দেখা দেয় । ধৰ্ম্মের কলহ এক নিদারুণ ব্যাপার। কেননা, কার মত ঠিক, আর কার মত ঠিক নয়, এই নিৰ্দ্ধারণ করবার কোন উপায় ধৰ্ম্ম-দৰ্শন বা ধৰ্ম্ম-বিজ্ঞান এখন পৰ্য্যন্ত উপস্থিত করতে পারেনি ; আর কখনও পারবে বলে মনে হয় না । তারপর সম্প্রদায় সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ, খাওয়া-পরা,