পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূবিষ্যতের বাঙালী . So V পরস্পরের সঙ্গে মেলামেশা প্রভৃতির ব্যাপারেও সাম্প্রদায়িকতাধু বিষ এসে প্ৰবেশ ক’রে জাতিকে পরস্পরবিরোধী বিভাগে বিভক্ত ক’রে ফেলে । ১. বৈষ্ণব এবং শাক্ত, সিয়া এবং সুন্নী, ক্যাথোলিক এবং প্ৰোটেষ্টাণ্ট, এইভাবে পরস্পরবিরোধী মতবাদে সমাজ বিভক্ত হয়েছে । তারপর ধৰ্ম্মমূলক সমাজের স্বাভাবিক প্রবণতা (tendency) হ’চ্ছে সাম্প্রদায়িক স্বার্থকে রাষ্ট্রীয় এবং জাতীয় স্বার্থের উৰ্দ্ধে স্থান দেওয়া । ধৰ্ম্মাদর্শের এই দুৰ্বলতার ফলে এর উপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র সব যায়গায় জাতীয়তার উপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্টের কাছে জীবন-যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। ५श्न_गद সভ্য দেশেই ধৰ্ম্মের পরিবৰ্ত্তে জাতীয়তাকেই রাষ্ট্রের ভিত্তিরূপে ব্যবহার করা হ’চ্ছে । আমাদেরও তাই করতে হ’বে । अभिग्नद्ध দেশে ধে এ আদর্শ এখন পৰ্য্যন্ত মিলনের এবং আত্মীয়তার গ্রস্থিকে যথেষ্টরূপে মজবুত ক’রে বাঁধতে পারেনি, তার কারণ আদর্শের ঘুর্বলতা নয়, তার কারণ হচ্ছে-আমাদের ঐকান্তিকতার অভাব । ব্যক্তিগত, বংশগত এবং সম্প্রদায়গত স্বাৰ্থ অনেক ক্ষেত্রে আমাদের .ൺ -- -- ~ SALAMSMTS LMSLLLSMMMMMMMMMMMMAeLeLMLMLTMMMMSMMMMMALL LLM LMMML0 L LAiiLeqqqSS বিপথে নিয়ে যায়, আর তার ফলে যুগাদূর্শের আহবান ব্যর্থ হয়। অনেক ক্ষেত্রে জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে জাতীয় আদর্শের দোহাই দিয়ে আমরা ব্যক্তিগত অথবা বংশগত অথবা সম্প্রদায়গাত স্বার্থকে প্রতিষ্ঠিত করবাপু চেষ্টা করি । ফলে, আদর্শের দুনাম হয়। মোট কথা, আমরা এখনও মধ্যযুগের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমরা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে বিচার ক’রে দেখি, কোনটা সত্যই জাতীয়তার আদর্শের পরিপোষক আর কোনটা তার পরিপোষক নয়, " এবং দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞভাবে সেই কাজ বা উক্তির সমর্থন করি, যা’ প্রকৃতই জাতীয়তার পরিপোসক ; আর সেই কাজ বা উক্তির প্রতিবাদ এবং বিরোধিতা করি, যা” জাতীয় আদর্শের প্রকৃত পরিপোষক নয়, তা’ হ’লে