&& ভবিষ্যতের বাঙালী এখন এষ্ট সব সমস্যার আলোচনা করা যাক । তবে এ স্থানে ব্যক্তিগত একটা কৈফিয়ৎ দেওয়া দরকার মনে করি। ধৰ্ম্মে আমি একান্ত ভাবে আস্থা রাখি, আর পশ্মিকে আমি জীবনের অপরিহ’ স্যা অঙ্গ ব’লেই মনে করি । তবে রাষ্টের সঙ্গে ধৰ্ম্মেৱ কোন আচ্ছেদ্য সম্বন্ধ আছে ব’লে আমি বিশ্বাস করি না । নিছক ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও সাধনার উপর ধৰ্ম্মের পূৰ্ত্তি ও পুষ্টি বলা যায় । রাষ্ট্রের কারবার হ’ল ইহজীবনের স্বাৰ্থ এবং সুবিধা নিয়ে ; বাক্তিগত স্বার্থ-সুবিধা, বংশগত স্বার্থ-সুবিধা, শ্রেণীগত স্বাৰ্থ-সুবিধা, জাতিগত স্বাৰ্থ-সুবিধা—এই সব স্বর্থ-সুবিধা নিয়েই রাষ্টের দৈনন্দিন কারবার 1, রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ( নিৰ্বাচন প্রভৃতিতে ) যে দল জয়ী হয়, সে দল স্বার্থের দিক থেকে যথেষ্ট লাভবান হয় ; পক্ষান্তরে, যে দল পরাজিত হয়, সে দল স্বার্থের দিক দিয়ে যথেষ্ট ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়ু । বৰ্ত্তমান যুগের রাষ্ট্ৰীয় জীবনের সঙ্গে কিছুমাত্র পরিচয় যাদের আছে, তারা জানেনরাষ্ট্রের কারবারই হ’ল এযুগে সব চেয়ে বড় কারবার | এরূপ অবস্থায় ধৰ্ম্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক না করলে, ধৰ্ম্ম আর ধৰ্ম্মই থাকে না, বড় একটা ব্যবসায়ে পরিণত হয়। আর ধৰ্ম্ম ব্যবসায়ে পরিণত হওয়ার মানেই হ’ল তার মৃত্যু! কেন না, সে অবস্থায় ধৰ্ম্মের নামে যে সব ছাড়া হয়, সেগুলি প্রক তপক্ষে ধৰ্ম্মের বুলি নয়, স্বার্থের উদ্বমন ৷ তা’ছাড়া সেরূপ অবস্থায় ধৰ্ম্মের গুরুত্বপূর্ণ পদে নানা রকম চালাকি এবং ফন্দির সাহায্যে যারা প্রতিষ্ঠিত হ’ন, তাদের কাছে ধৰ্ম্মের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থের মূল্যই বেশী। প্রকৃত ধম্মের ভিত্তি হ’ল ত্যাগ, সংযম আর পবিত্ৰতা । এ দুই আদশের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বাৰ্থ এবং অর্থসম্পদের নিবিড় সংযোগ কোনক্রমেই বাঞ্চনীয় নয়। সে সংযোগ যেখানে হয়েছে, সেইখানেই স্বার্থ প্ৰকৃত ধৰ্ম্মের আসন
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৩২
অবয়ব