ভবিষ্যতের বাঙালী ტა সমাজ চলে না- একথা যেমন সত্য, দর্শন এবং বিজ্ঞান না হ’লেও BDY uBLYD KBD DYDB DBSL LD DDBDS BYB BDBDDD বিশেষ এক পক্ষকে অর্থাৎ ধৰ্ম্মকে রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা দান করার মানে হ’চ্ছে দর্শন এবং বিজ্ঞানের মূলোৎপাটন করা। আচারের উপর প্রতিষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক ধৰ্ম্মের দৃষ্টি স্বভাবতঃই অতীতের দিকে ; পক্ষান্তরে, বৰ্ত্তমান যুগের বিশ্বমানবের দৃষ্টি হ’ল ভবিষ্যতের দিকে। মানুষ সব দেশেই এখন ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রেখে জীবন এবং রাষ্ট্রসাধনা করে । আনুষ্ঠানিক ধৰ্ম্ম কিন্তু মানুyসকে অহরহ অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, আর অতীতের জগতে ফিরে যাবার জন্য তাকে আহবান করে। বলা বাহুল্য, এরূপ অবস্থায় বৰ্ত্তমান যুগের মানসিকতার সঙ্গে অতীতের আচারানুষ্ঠান এবং মনোভাবের উপর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক পৰ্ম্মের সংঘর্ষ অনিবাৰ্য্য, আর সে সংঘর্ষ প্রকৃতপক্ষে অবিরামভাবেই চলেছে। এরূপ অবস্থায় অনুষ্ঠানমূলক সামাজিক ধৰ্ম্মকে রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতায় ভূষিত করার অর্থ হ’চ্ছে প্রগতির সর্ববিধ পথকে অর্গলবদ্ধ করা। এ কথা ও অস্বীকার করবার উপায় নাই মে, আনুষ্ঠানিক পৰ্ম্মের সামাজিক এবং রাষ্টীয় বিধি-নিষেধাদি অতীতের প্রয়োজন, অতীতের জীবনাদর্শ এবং অতীতের বেষ্টনীর তাগিদেই সৃষ্ট এবং তাদেরই ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত । সেই সুদূর অতীতের পক্ষে সবিশেষ উপযোগী হ’লেও, এ সব বিধি-নিষেধ, আচাপানুষ্ঠান প্রভৃতি অনেক ক্ষেত্ৰে বৰ্ত্তমান মানবের উন্নতির পথে দুর্লাজমা বিয়ের সৃষ্টি করেছে ; ধৰ্ম্মকে রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা দিলে এই সব বাধা-বিঘ্ন চিরস্থান রূপ ধারণ করবে, আর মানুষের উন্নতির সৰ্ব্ববিধ প্ৰয়াসকে ব্যর্থ ক’রে দেবে। আনুষ্ঠানিক ধর্শ্বেব্র সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হ’চ্ছে এই যে, তার প্রকৃতি হ’ল মানুষের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি করা, মানুষকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গণ্ডীতে
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৩৫
অবয়ব