ভবিষ্যতের বাঙালী (፩b” জাতীয়তার আদর্শকে এদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হ’লে, এদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কাজ করতে হ’বে । আর আমাদের সাধনাকে সার্থক করতে হ’লে, আমাদের আদর্শকে সুপ্ৰতিষ্ঠিত করতে হ’লে, আমাদের ভুলে যেতে হ’বে আমরা হিন্দু কি মুসলমান, আৰ্য্য কি অনাৰ্য্য। এখন পৰ্য্যন্ত যে এ জাতীয়তার আদর্শ এদেশে সুপ্ৰতিষ্ঠিত হয়নি, তার প্রধান কারণ হ’চ্ছে, যারা বাহ্যতঃ এ আদর্শের অনুসরণ করেন, তঁদের অনেকেই বস্তুতঃ এ আদর্শের আড়ালে ধৰ্ম্ম কিম্বা গোষ্ঠীমূলক আদর্শ প্রচার করতে চেষ্টা করেন । ধৰ্ম্মের সঙ্গে আমাদের বিবাদ নাই, গোষ্ঠীর সঙ্গেও আমাদের বিবাদ নাই। তবে ভণ্ডামির সঙ্গে সত্যই আমাদের বিবাদ আছে। যখন ধৰ্ম্মমূলক আদর্শের অনুসরণ করি, তখন ধৰ্ম্মের দিক থেকেই কথা বলার |:: যখন গোষ্ঠীর আদর্শের অনুসরণ করি, তখন গোষ্ঠীর দিক | থেকেই কথা বলার দরকার। আর যখন জাতীয়তার আদর্শের অনুসরণ \করি, তখন নিছক জাতীয়তার দিক থেকেই কথা বলার দরকার। অন্যথায় ব্যর্থতা অনিবাৰ্য্য । সর্ব ভারতীয় জাতীয়তার আদর্শ দিয়ে বিচার করলে, যে স্বনামধন্য মহাপুরুষের নাম সর্বাগ্রে মনে আসে, তিনি হচ্ছেন মোগল সম্রাটু জালালুদ্দীন আকবর। হিন্দু, মোসলেম, খৃষ্টান, পারসিক প্রভৃতি বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী ভারতবাসীর সম্মিলিত জাতীয়তার বিরাট স্বপ্ন তিনিই সর্বপ্ৰথম দেখেছিলেন। ভারতীয় জাতীয়তার তিনিই হলেন সত্যকার আদি স্রষ্টা । আমার মনে হয়, তার সেই স্বগীয় স্বপ্নকে ভারতবাসীর মনে চিরতরে জাগিয়ে রাখবার জন্য বৎসরের একটি দিনকে অন্ততঃ তার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা আমাদের কৰ্ত্তব্য। দেশময় সেদিন আনন্দোৎসব হওয়া উচিত ; রাত্রে প্রত্যেক গৃহকে, প্ৰত্যেক রাজপথকে আলোকমালায় সজ্জিত করা কীৰ্ত্তব্য ; সঙ্গীতে, নৃত্যে, আতসবাজীর ঐন্দ্ৰজালিক মায়ার
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৬১
অবয়ব