পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Weg ভবিষ্যতের বাঙালী মুসলমান সমান উৎসাহে যোগ দেবে। সে দিন যখন আসবে, তখনই হিন্দু-মুসলমানের প্রকৃত মিলন হ’বে। ইউরোপের কথা একবার ভাবা যাক। অবশ্য বৰ্ত্তমান যুদ্ধনিরত, উন্মাদগ্ৰস্ত ইউরোপের কথা বলছি না, ইউরোপীয় সভ্যতার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের কথাই বলছি। ইউরোপের লোকেরা সক্রেটিসকেও ভক্তি দেখায় আর যীশুখৃষ্টকেও ভক্তি দেখায়-হোমারের ইলিয়ডও আনন্দের সঙ্গে পড়ে, আর বাইবেলও আনন্দের সঙ্গে পড়ে-রোমের ইতিহাসও আগ্রহের সঙ্গে আলোচনা করে—এপোলো এবং মিনার্ভার ছবিও আঁকে, , আর ক্ৰাইষ্ট এবং ভাজিন মেরির ছবিও আঁাকে-গ্রীক দেবদেবীদের কাহিনীও পড়ে, এহুদিদের পুরাকাহিনীও পড়ে । ইউরোপের লোক শ্মশান-মানসিকতা অতিক্রম করতে পেরেছে বলেই এসব তাদের পক্ষে সম্ভবপর হয়েছে । 翁 বাঙালী তথা ভারতবাসী যখন শ্মশান-মানসিকতা অতিক্রম করবে, তাদের পক্ষেও। তখন এসব সম্ভবপর হ’বে । তখন তার হজরত মোহাম্মদকেও ভক্তি দেখাবে আর শ্ৰীকৃষ্ণকেও ভক্তি দেখাবে ; রামায়ণও আনন্দের সঙ্গে পড়বে, মোসলেম সভ্যতার ইতিহাসও আগ্রহের সঙ্গে আলোচনা করবে-আর ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাসও আগ্রহের সঙ্গে আলোচনা করবে।--হিন্দুকুষ্টিমূলক ছবিও আঁকবে, মুসলিম-কৃষ্টিমূলক ছবিও আঁকবে।--হিন্দুদের পৌরাণিক কাহিনীও পড়বে। আর মুসলমানদের পুৱাকাহিনীও পড়বে। তখন বাঙালী সত্যই একতাবদ্ধ এক জাতিতে পরিণত হ’বে। এদেশের হিন্দু-মুসলমান যখন শ্মশান-মানসিকতা অতিক্রম করবে, তখনই এসব সম্ভবপর হ’বে। হিন্দুকে শ্মশান থেকে এবং মুসলমানকে গোরস্থান থেকে বাড়ীতে তুলে আনাই হ’চ্ছে এখন अभिाग (थांन कiख् ।