পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবিষ্যতের বাঙালী १३ রাসেল এক চুমুকে এক গ্লাস শ্যাম্পেন শেষ ক’রে বললেন, “শোন, শোন, আফ্রিকার একটা অদ্ভূত গল্প বলি তোমাদের। রাজনীতির আলোচনা তো রোজই কর । আমি যে গল্প বলব, সে রকম গল্প বোধ হয় তোমরা কখনও শোন নি ।” আমি গল্প শুনতে বরাবরই . ভালবাসি। আগ্রহের সঙ্গে বললুম। “ব’ল, বল, তোমার গল্পটাই তা”হ’লে বল ।” রাসেল এক নিঃশ্বাসে আর এক গ্লাস শুষ্ঠাম্পেন শেষ ক’রে বললেন, “শোন। তবে মনোযোগ দিয়ে : “আমি জোহান্সবার্গের এক হোটেলে অবস্থান করছিলুম। একদিন ষ্ট্রাইকিং গোছের একটা লোক হোটেলের অতিথি হ’ল। লোকটার চেহারায় যথেষ্ট বৈশিষ্ট্য ছিল । মাংসপেশীবহুল বলিষ্ঠ দেহ । অনাবশ্যক মেদ-মাংসের কোন চিহ্ন কোথাও নাই। চোখের দৃষ্টি অতি তীক্ষ, সুদূরপ্রসারী-ঠিক ঈগল পাখীর মত। অথচ তাতে একটা করুণার ভাব মাখান ছিল। লোকটিকে একটু অন্যমনস্ক বলে মনে হ’ত, যেন কোন সদ্য-ঘটিত দুর্ঘটনার স্মৃতি তার মনকে আচ্ছন্ন ক’রে রেখেছে । লোকটিকে জানিবার জন্য আমার মনে কৌতুহল হচ্ছিল। “একদিন দুপুরে দেখি-লোকটি হোটেলের লাউঞ্জের এক কোণে এক এক সোফায় বসে আছে। সামনে টিপয়ে এক গ্লাস বীয়ার । অন্যমনস্ক ভাবে সে বীয়ায় পান করছে, আর কোন সুদূরের কথা যেন ভাবছে । আমি ওয়েটারকে এক ডিস খাবার আনতে বলে সোফায় বসে বললুম, “আপনার আপত্তি নাই তো ? একান্ত সৌজন্যের সঙ্গে ভদ্রলোক বললেন, ‘বসুন, আমি বড় আনন্দিত হলুম।” * “ওয়েটার বীয়ার নিয়ে এল। বন্ধুর নাম জানতে পারলুম। হক। তঁর বীয়ার প্রায় শেষ হ’য়ে এসেছিল। অনুমতি নিয়ে তার জন্য আর এক বোতল বীয়ারের অর্ডার দিয়ে আলাপ আরম্ভ করলুম।