পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ভবিষ্যতের বাঙালী মধ্যাহ্ন আকাশে পৌছাবার পরই সুৰ্য্য অস্তাচলগামী হয়, পাকার পরই ফল পচতে আরম্ভ করে, পূর্ণ বিকাশের পরই ফুল ঝরতে থাকে। কি সভ্যতা, কি মানবজীবন, এই প্ৰাকৃতিক নিয়মের বহিভূত নয় । পরিণতির পর তারাও পতনের পথে অগ্রসর হয় । অশোকের পর বৌদ্ধধৰ্ম্ম পতনের পথে গিয়েছিল, আল মামুনের পর মোতা জেলাবাদ পতনের পথে গিয়েছিল, আকবরের পর সুফিবাদও পতনের পথেই গিয়েছে। মৃত্যুর জীবাণু প্ৰত্যেক আদর্শবাদের মধ্যেই প্রচ্ছন্ন থাকে। আদর্শ পূর্ণ-পরিণতি লাভ করলে জীবাণুগুলি পুষ্ট হয়, আর তার পর সেই আদর্শকে বিনষ্ট ক’রে তবে ছাড়ে । যে সুফিবাদ একদিন এই বিশ্বে সগৌরবে বিরাজ করত, এখন সে আদর্শ। পীর-পূজা, কবর-পূজা প্রভৃতি অর্থহীন, অনেক ক্ষেত্রে অনিষ্টকর আচারেই পৰ্য্যবসিত হয়েছে। স্বাফি-আদর্শের বাইবেল হ'চ্ছে জালালুদ্দীন রূমাঁর ‘মাসনাভী’ নামক । বিরাট কাব্যগ্রন্থ। প্রত্যেক দুই লাইনের মধ্যে মিল রেখে যে কবিতা লেখা হয়, ফার্সিতে তাকেই মাসনাভী ছন্দ বলে। রূমীর সমগ্ৰ গ্ৰন্থটীি এই ছন্দে লেখা হয়েছে বলেই এ-কে মাসনাভী নামে অভিহিত করা হয়। জ্ঞান, চিন্তা এবং ভাবের ঐশ্বৰ্য্যে। এ গ্রন্থ সত্যই অতুলনীয় । মানুষ কিসের সন্ধানে ফেরে, কিসের জন্য তার অন্তরের ব্যাকুলতা, কার বিরহে সে কেঁদে বেড়ায়, এই চিরন্তন সমস্যার আলোচনা নিয়েই রূমী উৰ্তার গ্রন্থের মুখবন্ধ করেছেন। এ সব প্রশ্নের তিনি যে উত্তর দিয়েছেন, তাই হ’ল সুফিবাদের মূল কথা। মহাকবি বলেছেন : “বঁাশীর সুর শোন । 〔卒a c开甸〔西颈夺呜可á可列夜? কিসের বিরহে সে কঁদছে ?