88 প্রথম ভরতপুর-যুদ্ধ । পরিণাম কিরূপ হুইত, তাহা বলা যায় না। ব্রিটিশ সৈন্যের কাপুরুষতায় এবার ব্রিটিশসিংহ বিজয়মাল্যলাভে ৰঞ্চিত হইলেন। লৰ্ড লোক এইবার সৈনিকগণের ব্যবহারে মৰ্ম্মান্তিক মনস্তাপ পাইয়াছিলেন। তিনি কিন্তু তবুও কাহারও উপর রুষ্ট হন নাই ; বরং সকলকে ডাকাইয়া সস্নেহবচনে, মৰ্ম্মান্তিক উল্কাস-তাপে বলিতে লাগিলেন,-“এবার তোমা ষােহা করিলে, ব্রিটিশজাতির তাহা কখন হয় নাই । তোমাদের জন্য ব্রিটিশ নামে দুরপনেয় কলঙ্ক হইল ! তোমাদের জন্য বিজয়-মাল্য লাভে বঞ্চিত হইলাম। ভাল, যা হইবার তা হইয়াছে, তাহার আর উপায় কি ? এস, আর একবার দুর্গ আক্রমণের চেষ্টা করা शासेक ।” সেনাপতির মৰ্ম্মঘাতী বাক্যে সকলেই লজ্জিত ও বীথিত হইয়াছিল। সকলেই পুনরায় উত্তেজিত হইয়া, যুদ্ধার্থে প্ৰাণাস্তপণ করিল। লেফটেনাণ্ট টেম্পলটন, সর্বাগ্রে আত্মোৎসর্গ করিতে অগ্রসর হইলেন । নৈরাশ্যের অন্ধকারে তিনি যেন সহসা উৎসাহের জ্বলন্ত দীপংকরাগে শুভ্ৰ জ্যোতিন্মান
পাতা:ভরতপুর যুদ্ধ - বিহারিলাল সরকার.pdf/৫৮
অবয়ব