পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
ভানুসিংহের পত্রাবলী

জ্যোৎস্নালোকে সেই ঝিল্লি-মুখরিত মধ্যরাত্রে আবার আশ্রমের কঙ্কর-বিকীর্ণ পথে আশ্রম কুক্কুরবৃন্দের তারতিরস্কার শব্দ উপেক্ষা ক’রে দ্বিতীয় একটি নিঃসহায়া অবলার গৃহের মধ্যে প্রবেশ ক’র্‌লে। সেই ঘরে তৎকালে উক্ত রমণীর পূর্ণবয়স্ক একটি স্বামীমাত্র ছিল, আর জন-প্রাণীও না। সেখানেও পূর্ব্ববৎ সেই দুটি মাত্র প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের শব্দে স্তিমিত-দীপালোকিত সেই নির্জ্জন প্রায় কক্ষটি আতঙ্কে নিস্তব্ধ হ’য়ে রইলো। লোকটা বহুদূর দেশ থেকে হেড্‌ মাষ্টারকে খুঁজ্‌তে খুঁজ্‌তে কেন এখানে এলো? তা’র সঙ্গে কিসের শত্রুতা? সেই রাত্রে স্বামীসনাথা ঐ একটি রমণী এবং স্বামীদূরগতা অন্য অবলা না জানি তাদের সরল কোমল হৃদয়ে কী আশঙ্কা বহন ক’রে ঘুমিয়ে প’ড়্‌লো! পরদিন প্রভাতে হেড-মাষ্টারের মাষ্টার বাদ দিয়ে বাকি ছিন্ন অংশ কি, কোথাও পাওয়া যাবে—তাঁরা আশঙ্কা ক’রেছিলেন?

 তা’রপরে তৃতীয় পরিচ্ছেদ। পরদিন প্রথম নারীটি আমাকে ব’ল্‌লেন, “তাত, মধ্যরাত্রে একটি যুবক—ইত্যাদি।” শুনে আমার পাঠিকা বিস্মিত হবেন না-যে, আমি আশ্রম ছেড়ে পালাইনি; এমন কি, আমি