পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৮
ভানুসিংহের পত্রাবলী

রৌদ্রালোকে চারিদিক প্রসন্ন; মোটা মোটা গোটাকতক মেঘ পাহাড়ের গা আঁক্‌ড়ে ধ’রে চুপ্‌চাপ রোদ পোয়াচ্চে; তাদের এম্‌নি বেজায় কুঁড়ে রকমের চেহারা-যে, শীঘ্র তা’রা বৃষ্টি বর্ষণে লাগবে এমন মনেই হয় না।

 আমার এখানকার লেখ্‌বার ঘরের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের সেই কোণটার কোনো তুলনাই হয় না। বেশ বড়ো ঘর—নানা রকমের চৌকি, টেবিল, সোফা, আরামকেদারায় আকীর্ণ। জান্‌লাগুলো সমস্তই শার্সি‌র, তার ভিতর থেকে দেখ্‌তে পাচ্চি, দেওদার গাছগুলো লম্বা হ’য়ে দাঁড়িয়ে উঠে বাতাসে মাথা নেড়ে নেড়ে আকাশের মেঘের সঙ্গে ইসারায় কথা বল্‌বার চেষ্টা ক’র্‌চে। বাগানের ফুলগাছের চান্‌কায় কত রঙবেরঙের ফুল-যে ফুটেচে তা’র ঠিক নেই,—কত চামেলি কত চন্দ্রমল্লিকা, কত গোলাপ,—আরো কত অজ্ঞাতকুলশীল ফুল। আমি ভোরে সূর্য্য ওঠ্‌বার আগেই রাস্তার দুইধারের সেই সব ফোটা ফুলের মাঝখান দিয়ে পায়চারি ক’রে বেড়াই—তা’রা আমার পাকা দাড়ি আর লম্বা জোব্বা দেখে একটুও ভয় পায় না—হাসাহাসি করে।

 এই পর্য্যন্ত লিখেচি, এমন সময়ে সাধু এসে খবর